সিভিতে এই ৮টি স্কিল অবশ্যই রাখবেন

চাকরি খুঁজছেন? তাহলে সিভি তো লাগবেই। যদিও গতানুগতিক সিভি জমা দিয়ে এখন আর চাকরি হয় না। তথ্যবহুল, মার্জিত ও একটি স্মার্ট সিভি আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষে। তাই সিভিতে থাকা চাই ন্যূনতম আট স্কিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই আট স্কিল থাকলে আপনার সিভি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করবে, নিশ্চিত থাকুন। তাহলে চলুন জেনে নিই, যে আট স্কিল আপনার সিভিতে থাকতেই হবে-

১। অ্যাক্টিভ লিসেনিং: অনেকেই আছেন, যারা শোনার চেয়ে বকবক বেশি করেন। এমন ধরনের কর্মীদের সাধারণত অফিসের কেউই পছন্দ করেন না। তবে আপনার মধ্যে যদি ভালো শ্রোতা সুলভ গুণ থাকে সেটি সিভিতে উল্লেখ করতে হবে। বিষয়টি যেকোনো প্রতিষ্ঠানই ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করে।

২। কমিউনিকেশন : যোগাযোগ দক্ষতা একজন ব্যক্তিকে অনেক দূর এগিয়ে রাখে। এরমধ্যে দিয়ে একজন কর্মী বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য আদান প্রদান করতে পারেন। বিশেষ করে যাদের একাধিক ভাষায় লিখিত যোগাযোগের দক্ষতা আছ, সেসব কর্মীদের প্রতিষ্ঠান ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করে। ফলে সিভিতে বিষয়টি উল্লেখ করতে পারেন।

৩। কম্পিউটার স্কিল : বর্তমান সময়ে কম্পিউটার চালনার দক্ষতা থাকা আবশ্যক। ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে একজন কর্মী কম্পিউটার চালাতে জানবেন না, সেটা কোনো প্রতিষ্ঠানই চাইবে না। ফলে সিভিতে কম্পিউটার সংক্রান্ত খুঁটিনাটি যেসব বিষয়ে ধারণা আছে, তা উল্লেখ করতে হবে।

৪। কাস্টমার সার্ভিস : প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কাস্টমার সার্ভিস। এ বিভাগের অধীনে সাধারণত কাস্টমারদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, চিন্তা ও সেবা বিনিময় করা হয়। সুতরাং কোনো চাকরি প্রত্যাশীর সিভিতে এই দক্ষতার কথা উল্লেখ থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই সেটা ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করা হবে।

৫। লিডারশিপ স্কিল : নেতৃত্বের গুণাবলী আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করবেই। বিশেষ করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই চাইবে, তাদের কর্মীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী থাকুক। যাতে তারা চলমান মার্কেটে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

৬। ম্যানেজমেন্ট স্কিল : ধরুন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজেক্ট শুরু করতে যাচ্ছে। আপনি সেখানে চাকরির জন্য আবেদন করলেন। স্বাভাকিভাবেই প্রতিষ্ঠানটি চাইবে, আপনার মধ্যে ম্যানেজমেন্ট স্কিল থাকুক। ফলে আপনি যদি আগে থেকেই সিভিতে এই বিষয়টি উল্লেখ করে দেন, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি অবশ্যই ইতিবাচক ভাবে দেখবে।

৭। প্রবলেম-সলভিং স্কিল : সাম্প্রতিক সময়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সরাসরি উল্লেখ করে দেয়। অর্থাৎ দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানে পারদর্শী হলে প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে ইতিবাচক ভাবে মূল্যায়ন করবে।

৮। টাইম ম্যানেজমেন্ট : প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই চায়, কর্মীদের মধ্যে সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা থাকুক। সময় সচেতনদের সব প্রতিষ্ঠানই চাইবে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করতে।

© Copyright 2024 - All Rights Reserved - by Jagobangla