যে শর্তগুলো পালন না করলে নামাজ হবে না
নামাজ ফরজ ইবাদত। নামাজে সুরা ও কেরাত পড়তে হয়। এ কেরাত পড়ায় কিছু শর্ত আছে, যেগুলো মেনে নামাজ পড়তে হয়। যে শর্তগুলো পাওয়া না গেলে নামাজ হবে না, যা পালন করা জরুরি। তাহলো-
১. তেলাওয়াত শুদ্ধ হতে হবে। কোরআনের সুরা ও আয়াতের অক্ষর, বাক্যগুলো বিশুদ্ধ উচ্চারণ হতে হবে। তেলাওয়াত বিশুদ্ধ না হলে নামাজ হবে না। আর ভুল তেলাওয়াতের জন্য গুনাহগার হতে হবে।
২. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহার সঙ্গে সুরা মিলাতে হবে। সুরা মিলানো ওয়াজিব।
৩. কমপক্ষে তিন আয়াত বা তিন আয়াতের সমপরিমাণ বড় এক আয়াত তেলাওয়াত করতে হবে।
৪. বিতর, সুন্নাত ও নফল নামাজের ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাকাতেই সুরা ফাতেহার সঙ্গে সুরা মিলাতে হবে।
৫. ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা, বিতর নামাজ জামাতে পড়াকালীন, দুই ঈদের নামাজে সুরা উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করতে হবে।
৬. ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ একাকি আদায় করলেও উচ্চস্বরে কেরাত কেলাওয়াত করা উত্তম।
৭. সুরা ফাতেহার সঙ্গে যে সুরা মেলানো হয় তা প্রত্যেক রাকাতের জন্য আলাদা আলাদা সুরা তেলাওয়াত করা উত্তম।
৮. ধীরে ধীরে কেরাতের নামাজে সুরাগুলো মুখে উচ্চারণ করে তেলাওয়াত করতে হবে; মুখ বন্ধ করে, জিহ্বা না নাড়িয়ে মনে মনে পড়া যাবে না। এমনভাবে পড়তে হবে যাতে নিজ কানে তেলাওয়াতের আওয়াজ আসে।
৯. কেরাত শেষ হওয়ার আগে তেলাওয়াত করতে করতে রুকুতে যাওয়া মাকরূহ বা নিষিদ্ধ।
১০. ফরজ নামাজে সুরা ফাতেহার সঙ্গে মিলানো সুরা বা আয়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোরআনের ক্রমধারা ঠিক না রাখা মাকরূহ। ভুলে আয়াত বা সুরা আগে/পিছে পড়লে মাকরূহ হবে না। ক্রমধারা অর্থ হচ্ছে- প্রথম রাকাতে সুরা ইখলাস (কুল হুয়াল্লাহু আহাদ) পড়া আর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাউছার (ইন্না আ’ত্বাইনা) পড়া।
১১. ফরজ নামাজে একই সুরার অনেক আয়াত একত্রে পড়া এবং দুই আয়াতের কম ছেড়ে দ্বিতীয় রাকতে সামনে থেকে পড়া মাকরূহ। আবার কেউ যদি দুই সুরা এভাবে পড়ে যে, মাঝখানে ৩ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সুরা পড়ে তবে তাও মাকরূহ।
১২. যদি কেউ নতুন মুসলমান হয়। তবে অনতিবিলম্বে সুরা বা আয়াত শিখে নিতে হবে। শিখে নেয়ার আগ পর্যন্ত নামাজে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি তাসবিহ পড়বে। কোরআন শিক্ষা করার ব্যাপারে অলসতা করলে গুনাহগার হবে।