প্রিয়জন মারা গেলে যে ৭টি কাজ করা নিষেধ
মানুষ মাত্রই মরণশীল। যা জীবন আছে, তাকে মৃত্যুর স্বাদ নিতেই হবে। এটাই চিরন্তন সত্য। মহান আল্লাহ কোরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে মৃত্যুর বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছেন এভাবে-
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ
‘প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৮৫)
মৃত্যুর পর আপনজন কান্নাকাটি ও বিলাপ করে থাকে। কিন্তু আপনজন মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলে-সন্তানসহ নিকট আত্মীয়দের জন্য এমন কিছু কাজ-কর্ম হারাম বা নিষিদ্ধ। যা সাধারণত তারা করে থাকে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কিছু বিষয় হারাম করেছেন। যে কাজগুলো মানুষ করে থাকে, যখন তাদের আপনজনদের কেউ মারা যায়। তাহলো-
১. মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ বা সুর করে কাঁদা। নবিজি বলেছেন, মানুষের মাঝে দুটি বিষয় রয়েছে যাতে তারা কুফরি করে- ক. বংশের খোঁটা দেয়া, খ. মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কাঁদা। এগুলো নিষেধ।
২. গালে বা শরীরে আঘাত করা।
৩. জামা- কাপড় ছেঁড়া। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি গাল চাপড়ায় বা জামার গলা বা পকেট ছিঁড়ে ফেলে এবং জাহিলিয়াতের মতো আচরণ করে, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়।
৪. কারো মৃত্যুতে চুল কামিয়ে ফেলা বা মাথা মুণ্ডন করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর ভয়ে উচ্চ আওয়াজকারীনী নারী থেকে এবং মাথামুণ্ডনকারীনী নারী থেকে এবং অধিক কঠিনতা অবলম্বনকারীনী নারী থেকে পবিত্র ছিলেন।
৫. কারো মৃত্যুতে কবিতা বা কাসিদা প্রকাশ করা।
৬. দিনের কিছু সময় মৃত ব্যক্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জন্য কবিতা আবৃত্তি করা।
৭. মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ তার পক্ষ থেকে প্রচার করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শোকসংবাদ ঘোষণায় নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে আপনজনের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করুন।