জিম্বাবুয়ের পূর্ণশক্তির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল
হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে সেই আগস্টের পর দলের বাইরে নিয়মিত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। শেষ পর্যন্ত তার নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। সুস্থ হওয়ায় রেজিস চাকাভার কাছ থেকে নেতৃত্ব ফিরে পেয়েছেন তিনি।
শুধু আরভিনই নন, জিম্বাবুয়ের জন্য স্বস্তির খবর হলো চোট কাটিয়ে ফিরেছেন টেন্ডাই চাতারা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও মিল্টন শুম্বা। ফিটনেস ফিরে পেয়েছেন তারকা পেসার ব্লেসিং মুজারাবানিও। এখন বোলিং ইউনিটকে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। জিম্বাবুয়ের এই পেসার পিএসএলে মুলতান সুলতান্সে ও আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসে নেট বোলার হিসেবে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ফলে গ্লোবাল ইভেন্টে পূর্ণশক্তি নিয়েই দলটি খেলতে যাচ্ছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সাদা বলের সিরিজে খেলা ভিক্টর নিয়াউচি, ইনোসেন্ট কাইয়া, তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো ও তাদিওয়ানাশে মারুমানির মূল দলে জায়গা হয়নি। তাদের মধ্য থেকে রিজার্ভে জায়গা হয়েছে কাইয়া, মারুমানি ও নিয়াউচির।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাছাইয়ে ঘরের মাঠে সবগুলো ম্যাচ জিতেই তারা মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে। এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের খেলতে হবে প্রথম পর্ব। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড। তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে তারা ১০ অক্টোবর মুখোমুখি হবে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার। ১৩ অক্টোবর অপর প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ নামিবিয়া। দুটি ম্যাচই হবে মেলবোর্নে। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু ১৬ অক্টোবর।
জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড: ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, রেজিস চাকাভা, টেন্ডাই চাতারা, ব্র্যাডলি ইভান্স, লুক জঙ্গোয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, ওয়েসলি মেধেভেরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিইয়োঙ্গা, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও শন উইলিয়ামস।
রিজার্ভ: তানাকা চিভাঙ্গা, ইনোসেন্ট কাইয়া, কেভিন কাসুজা, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ভিক্টর নিয়াউচি।