বিশ্বনবী যে ৭ বিষয়ে আদেশ ও নিষেধ করেছেন
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৭টি কাজ করার প্রতি উৎসাহিত করেছেন আর ৭টি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। বিষয়গুলো মানুষের স্বাভাবিক জীবনের সঙ্গে জড়িত আর এর মাঝে মানবিকতার বিষয়ও রয়েছে। এ বিষয়গুলোর মধ্যে মহান আল্লাহ রেখেছেন অনেক সওয়াব ও ফজিলত। হাদিসের বর্ণনায় ওঠে আসা এ কাজগুলো কী?
হজরত বারাআ ইবনু আজিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাতটি বিষয়ে আমাদের (কাজ করার) নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে আমাদের নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন-
৭ কাজের নির্দেশ
১. জানাজার অনুগমন করা,
২. রুগণ/অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেওয়া,
৩. দাওয়াত দাতার দাওয়াত গ্রহণ করা,
৪. মাজলুমকে সাহায্য করা,
৫. কসম থেকে দায়মুক্ত করা,
৬. সালামের জবাব দেওয়া এবং
৭. হাঁচিদাতাকে (ইয়ারহামুকাল্লাহু বলে) সন্তুষ্ট করা।
আর তিনি (৭টি বিষয়) নিষেধ করেছেন-
১. রুপার পাত্র (ব্যবহার),
২. সোনার আংটি (ব্যবহার),
৩. রেশম (পোশাক ব্যবহার),
৪. দীবাজ (পাতলা রেশমের পোশাক ব্যবহার),
৫. কাসসি (কেস রেশম ব্যবহার),
৬. ইস্তিব্রাক (তসরজাতীয় রেশম) ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
উল্লেখ্য, সোনা-রুপার পাত্র সব মুসলিমের জন্য হারাম। তবে কোনো পাত্র ভেঙে গেলে তা সোনা-রুপার তার দিয়ে জোড়া ও ঝালাই দেওয়া বৈধ হবে। আর সোনার অলঙ্কার ও রেশমের পোশাক পুরুষদের জন্য হারাম হলেও তা নারীদের জন্য বৈধ। তবে পুরুষদের কারও কারও শরীরে চুলকানি বা ঘা ইত্যাদির কারণে রেশমের পোশাক ব্যবহারও বৈধ।
এ ছাড়াও এক মুসলমানের প্রতি অপর মুসলমানের রয়েছে বেশি কিছু হক বা অধিকার। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমি বলতে শুনেছি যে, এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি-
১. সালামের জওয়াব দেওয়া,
২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেওয়া,
৩. জানাজার পশ্চাদানুসরণ করা,
৪. দাওয়াত কবুল করা এবং
৫. হাঁচিদাতাকে খুশি করা (আল-হামদুলিল্লাহর জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা)।' (বুখারি ১২৪০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে উল্লেখিত আমলগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।