যেসব রাতের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না
আল্লাহ তাআলার দরবারে যে কোনো সময় দোয়া করা যায়। তবে কিছু দিন, কিছু মুহূর্ত এবং কিছু সময় আছে সুনির্ধারিত; যখন আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন। ইতিপূর্বে সে সময় ও ক্ষণগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এ ছাড়াও কিছু রাত এমন রয়েছে যে রাতে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন। সে রাতগুলোর মধ্যে একটি হলো রজব মাসের প্রথম রাত। এ রজব মাস জুড়েই আল্লাহর নবি বেশি বেশি বরকত এবং রমজান পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধির দোয়া করতেন।
হাদিসে পাকে এসেছে, রজব মাসের প্রথম রাত, বান্দার দোয়া কবুলের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে প্রিয়নবি নসিহত করেছেন। হাদিসে ঘোষিত সুনির্ধারিত রাতগুলো সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘(দুনিয়াতে) পাঁচটি রাত এমন আছে; যে রাতগুলোতে বান্দার দোয়া আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না। অর্থাৎ বান্দার দোয়া কবুল করেন। রাতগুলো হলো-
>> (সপ্তাহিক) জুমআর রাত;>> রজব মাসের প্রথম রাত;>> শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত,>> ঈদুল ফিতরের রাত এবং>> ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নেফে আবদুর রাজ্জাক)
তবে সতর্কতা হলো, এ দিনগুলোতে বিশেষ কোনো নামাজ বা রোজার মতো কোনো আমল বা ইবাদতের নির্দেশ দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য যে, আজ ১৮ মার্চ যদি পশ্চিম আকশে চাঁদ দেখা যায় তবে আজই সেই রাত, যে রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হবে না বলে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণা রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রতি জুমআর রাত অর্থাৎ প্রত্যেক বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে, অর্ধ শাবানের রাতে এবং ২ ঈদের রাতে আল্লাহর দরবারে ধরণা দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।