গিজার কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখে নেবেন

 

শীতকালে অনেকেই গোসল করতে অনীহা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে সকালে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। এ কারণে আজকাল সমাধান হিসাবে অনকেই বাড়িতে গিজার ব্যবহার করছেন। পানি গরম থাকলে স্বস্তিতে গোসল সেরে ফেলা যায়। কিন্তু যেকোন গিজার এনে লাগিয়ে দিলেই তো হল না। এতে বিদ্যুৎ বিলও বাড়ে। তাই এই শীতে গিজার কেনার পরিকল্পনা থাকলে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখুন। যেমন-

১. কত লিটারের গিজার প্রয়োজন, কেনার আগেই তা ঠিক করে নিন। সেই মতোই বাজেট রাখুন। খুব ছোট গিজারের দাম কম হবে ঠিকই, কিন্তু সেই ট্যাঙ্কি দ্রুত ফাঁকাও হবে। ফলে একবার পানি তুললেই যে কাজ হয়ে যেত, তা একাধিকবার করতে হবে। এতে বিদ্যুৎ খরচও বেশি। ভুলবশত গিজার অন করে রাখার সম্ভাবনাও থেকে যাবে বেশি। সেক্ষেত্রে ২-৩ জনের পরিবারের সদস্যর ক্ষেত্রে ৬ লিটার আর বাড়ির লোক ৪-৮ জন হলে বেছে নিন ৩৫ লিটারের গিজার।

২. এক একজনের বাথরুমের চেহারা ও আকার এক এক রকম হয়ে থাকে। তাই বাথরুমের দেওয়ালে সঠিক ভাবে বসাতে পারবেন, এমন ডিজাইনের গিজারই বেছে নিন।

৩. গিজারটি কতখানি বিদ্যুৎ খরচ করে, অর্থাৎ কতক্ষণ অন থাকলে কতটা ওয়াট পুড়ছে, গিজার কেনার আগে তা অবশ্যই ভালভাবে দেখে নিন। গিজারের বক্সের গায়েই এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেওয়া থাকে। এক্ষেত্রে ৪ স্টার বিশিষ্ট গিজার কিনতে পারেন। এতে বিদ্যুতের খরচ কম হবে।

৪. ডিজাইন, স্টারের পাশাপাশি গিজার কেনার আগে এর সেফটি ফিচারগুলি দেখে নেওয়াও বিশেষ জরুরি। বিশেষ করে বাড়িতে ছোটরা থাকলে গিজার কতখানি সুরক্ষিত, তা দেখেই কেনা উচিত। এক্ষেত্রে সেফটি ভাল্ভ, অটো-কাটঅফ ফিচার আছে কি না অবশ্যই দেখে নিন।

৫. গিজারটি কেমন দেখতে, ডিজিটাল ডিসপ্লে রয়েছে কি না, কন্ট্রোল নব আছে কি না, এসব ফিচার অনেকেই খেয়াল করেন। কিন্তু গিজার কেনার ক্ষেত্রে এগুলি কম প্রয়োজনীয়। বরং যে ব্র্যান্ডের গিজার কিনছেন, তার প্রোডাক্ট কেমন হয়, সেই বিষয়টি জেনে নিন। ইন্টারনেট আর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এখনই খুব সহজেই দেখতে পারেন কোন কোম্পানির গিজার কেমন কাজ করছে।

© Copyright 2024 - All Rights Reserved - by Jagobangla