বিশ্বনবীকে যে দোয়া পড়ে ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন জিবরিল (আ.)

অনেক কারণেই মানুষ অসুস্থ হতে পারে। মানুষের সব অসুস্থতায় প্রশান্তি ও নিরাপত্তায় রয়েছে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়া ও আমল। একবার নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থ হলে তখন হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম তাঁকে ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একবার জিবরিল আলাইহিস সালাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি অসুস্থতাবোধ করছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ’। জিবরিল আলাইহিস সালাম (তখন এ দোয়া পড়ে ঝাড়লেন) বললেন-

بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ ‏

উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আরক্বিকা মিং কুল্লি শাইয়িন ইয়ুজিকা ওয়া মিন সাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসাদিল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরক্বিকা।’

অর্থ : আল্লাহর নামে কষ্ট দানকারীর সব অনিষ্টতা থেকে আপনাকে ঝাঁড়-ফুক করছি। হিংসুক ব্যক্তির কুদৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাঁড়-ফুক করছি। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করতেই তার নামে ঝাঁড়-ফুক করছি।’ (মেশকাত ১৫৩৪, মুসলিম ২১৮৬)

হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী অসুস্থতা বোধ করলে আল্লাহর নামে এ দোয়া পড়ে ঝাঁড়-ফুক করলেই সব কষ্টদায়ক বিষয় থেকে মুক্ত থাকা যায। যা হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম করেছিলেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী জিবরিল আলাইহিস সালামের মতো এ আমলটি যথাযথভাবে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

© Copyright 2024 - All Rights Reserved - by Jagobangla