৭৭৩ কোটি টাকায় সৌদি ক্লাসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
সব জ্বল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরেই যোগ দিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। টুইট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আল নাসর ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আড়াই বছরের চুক্তিতে আল নাসরে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। ২০২৫ মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সৌদি ক্লাবে খেলবেন তিনি।
ইএসপিএন বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বাৎসরিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিকে সৌদি ক্লাবটিতে যোগ দিলেন সিআর সেভেন। যা বাংলাদেশী অংকে দাঁড়ায় ৭৭৩ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
যা তাকে ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ফুটবলারে পরিণত করেছে। রোনালদো এবং সৌদি ক্লাব কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোও ইএসপিএনকে এই সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেনি।
সৌদি ক্লাব আল নাসেরের বিবৃতিতে রোনালদো বলেন, ‘ভিন্ন একটি দেশে, নতুন একটি ফুটবল লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। সৌদি আরবে পুরুষ ও নারী ফুটবলের উন্নয়নে আল নাসের যা করছে তা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। বিশ্বকাপে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটি একটি বড় ফুটবল উচ্চাকাঙ্ক্ষার দেশ এবং তাদের সম্ভাবনা অনেক। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে, ক্যারিয়ারে প্রায় সবকিছুই জিতেছি। ইউরোপিয়ান ফুটবলে আমি যা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম, সবই জেতা হয়েছে। এ কারণে আমি ভেবেছি, এখনই সময় জীবনে যা কিছু অর্জন করেছি সে অভিজ্ঞতা এশিয়ায় শেয়ার করার। আমি খুবই মুখিয়ে আছি আমার নতুন সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করা এবং তাদের সঙ্গে খেলার জন্য।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। যে কারণে চলতি মৌসুমের শুরুতেই ম্যানইউ ছেড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলে এমন কোনো ক্লাবে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন তিনি; কিন্তু কোনো ক্লাবই রাজি হয়নি সিআর সেভেনকে দলে নিতে। অগত্যা ম্যানইউতেই থেকে যেতে হয় তাকে।
কিন্তু ম্যানইউতেও বনিবনা হচ্ছিল না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে, সতীর্থদের সঙ্গে এবং সবচেয়ে বেশি কোচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিশ্বকাপের আগে এক সাক্ষাৎকারে কোচের বিরুদ্ধে সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দেন সিআর সেভেন। সে কারণে ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কের অবণতি এবং বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে ম্যানইউর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন রোনালদো।
এরপরই ফ্রি এজেন্টে পরিণত হন সিআর সেভেন। বিশ্বকাপেও পর্তুগাল দলে কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিলো রোনালদোর। যে কারণে দুই ম্যাচে পরপর সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয় তাকে।