তায়াম্মুম কখন কীভাবে করতে হয়?
অজু বা গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যায়। কিন্তু পানি না পেলে বা পানি ব্যবহারে অপারগ হলে তখন কী করবেন? কোরআনুল কারিমে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট সমাধান দেওয়া আছে। শারীরিক পবিত্রতায় অজু-গোসলের বিকল্প হচ্ছে তায়াম্মুম।
কখন তায়াম্মুম করবেনযখন পানি না থাকে বা এমন দূরত্বে পানি থাকে যে, পানির জন্য অপেক্ষা করলে নামাজের সময় পার হয়ে যাবে। অথবা এমন অসুস্থতা বা এমন শীত, যাতে পানি ব্যবহার করলে প্রাণনাশের বা বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা আছে। এ অবস্থায় অজু-গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করা যাবে। উভয় ক্ষেত্রে তায়াম্মুমের নিয়ম এক ও অভিন্ন।
তায়াম্মুমের নিয়ম১. প্রথমেই তায়াম্মুমের ইচ্ছা করা২. তায়াম্মুমের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ বলা’৩. উভয় হাত পবিত্র মাটিতে মেরে একটু সামনে-পেছনের দিকে নিয়ে ভালোভাবে স্পর্শ নেওয়া৪. মাটিতে হাত মারার পর মাটি ঝেড়ে ফেলা৫. মাটিতে হাত মারার সময় আঙুলগুলো ফাঁক করে রাখা৬. উভয় হাতের তালু দ্বারা পুরো মুখমণ্ডল মাসেহ করা৭. আগের মতো উভয় হাত পবিত্র মাটিতে মেরে একটু সামনে-পেছনে দিকে নিয়ে ভালোভাবে স্পর্শ নেওয়া৮. বামহাতের তালু দ্বারা ডানহাত কনুইসহ মাসেহ করা৯. ডানহাতের তালু দ্বারা বামহাত কনুইসহ মাসেহ করা১০. মাসেহের ধারাবাহিকতা যথাযথভাবে ঠিক রাখা১১. বিরতিহীনভাবে তায়াম্মুম করা অর্থাৎ উভয় মাসেহে বিলম্ব না করা।
তায়াম্মুমের মুস্তাহাবযদি প্রবল ধারণা থাকে যে, শেষ সময় পর্যন্ত পানি পাওয়া যাবে; তাহলে তায়াম্মুমের জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা মুস্তাহাব। আর যদি পানি পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে তায়াম্মুম করে মুস্তাহাব সময়ে ইবাদত সম্পন্ন করতে হবে।