ওটস খাওয়ার ৫ উপকারিতা

স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় শুরুর দিকেই থাকে ওটসের নাম। বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পেতে এই খাবারের ওপর আস্থা রাখেন অনেকেই। ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার খেলে মেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। সেইসঙ্গে এতে থাকে অ্যাভিন্যানথ্রামাইড, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।

ফাইবার ও অ্যাভিন্যানথ্রামাইড ছাড়াও ওটস খেলে মিলবে পর্যাপ্ত আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বি সহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান। বিশেষ করে এতে থাকা ভিটামিন বি কার্বোহাইড্রেট ভেঙে হজমপ্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ওটস খেলে কী স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে-

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ওটস। এতে থাকা বিটা গ্লুটেন নামক বিশেষ ধরনের ফাইবার এই কাজে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন তিন গ্রামের মতো ওটস খেয়ে থাকেন তবে তা প্রায় আট থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে কার্যকরী ওটস। এতে থাকা বিটা গ্লুটেন এই কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ফলে শরীরে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ সহজে বাসা বাঁধতে পারে না।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

উচ্চ রক্তচাপ কিংবা নিম্ন রক্তচাপ দুটোই শরীরের জন্য ক্ষতিকার। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ওটস। নিয়মিত ওটস খেলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। সেইসঙ্গে কমে মানসিক চাপ ও হাইপার টেনশনের ঝুঁকিও।

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

হার্ট ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ওটস। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। যে কারণে কমে হার্টের অসুখের ঝুঁকি। তাই হার্ট ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত ওটস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে উপকারী খাবার হতে পারে ওটস। কারণ এটি লো ক্যালোরি ও সুগার ফ্রি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিশেষ উপকারী। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিয়মিত ওটস খেতে পারেন। সকালের নাস্তায় ওটস রাখলে উপকার পাবেন।

© Copyright 2024 - All Rights Reserved - by Jagobangla