টাইটানিকের সেই দৃশ্যটি নিয়ে বিষয়টি মুখ খুললেন ছবিটির পরিচালক
‘টাইটানিক’ দেখেছেন কিন্তু জ্যাক এবং রোজের রসায়নের প্রেমে পড়েননি এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই তো মুক্তির এত বছর পরেও ঘুরেফিরে আলোচনায় আসে যুবক জ্যাকের আত্মত্যাগের সেই করুণ কাহিনি! চাইলে কি জ্যাককে বাঁচিয়ে রাখা যেত না? অবশেষে বিষয়টি মুখ খুললেন ছবিটির পরিচালক জেমস ক্যামেরন।
‘অ্যাভাটার ২’-এর ব্যাপক সাফল্যের পর, ২৫ বছর আগের স্মৃতিতে আরেকবার ঘুরে আসলেন নির্মাতা। এক অনুষ্ঠানে স্বীকার করলেন, ‘সে রাতে জ্যাক প্রাণে বেঁচে যেতে পারত। সামুদ্রিক দুর্ঘটনার মোকাবিলা করা যেত হয়তো। রোজ যে ভাঙা দরজার পাল্লায় ভর দিয়ে সমুদ্রে ভাসছিলেন, তার ওপর চড়লেই যে জ্যাক বেঁচে যেত, তা নয়। অন্য উপায় ছিল।’
নতুন তথ্যচিত্রেই এই ভাবনাকে ঠাঁই দিয়েছেন ক্যামেরন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ‘টাইটানিক: ২৫ ইয়ারস লেটার উইথ জেমস ক্যামেরন’-এ পুরোনো বিতর্কটিই বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পুনর্বিবেচনা করেছেন।
বিজ্ঞানীদের একটি দল এবং দুজন স্টান্ট পারফর্মারের সঙ্গে কাজ করে, ক্যামেরন টাইটানিক ডুবে যাওয়ার রাতে কী কী হতে পারত সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছেন। জাহাজ যাত্রাকালীন প্রেমে পড়া জ্যাক এবং রোজ কী অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই সঙ্গে তারা যে সমাধানগুলো চেষ্টা করতে পারতেন তা পুনরায় তৈরি করার জন্য নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন ক্যামেরন।
কী পাওয়া গেছে গবেষণায়? দেখা যায়, রোজ এবং জ্যাক যদি দুজনেই সেই দরজায় ভর দিয়ে শরীরের ওপরের অংশ ভাসিয়ে রাখতেন এবং রোজ যদি তার লাইফ জ্যাকেট দিয়ে জ্যাককে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করত তাহলে জ্যাকের বেঁচে থাকার সুযোগ ছিল।
যদিও জ্যাককে এমনভাবে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন ছিল বলেই দাবি ক্যামেরনের। কারণ, সমস্যাটা বাহ্যিক নয়। মৃত্যুর কারণ লুকিয়ে ছিল চরিত্রের মনোভাবে। পরিচালকের কথায়, ‘জ্যাক এমন কোনো কাজ করতেই পারে না যাতে রোজ এতটুকুও সমস্যায় পড়ে। তারচেয়ে মৃত্যুই তার কাছে স্বস্তির ছিল। এই বৈশিষ্ট্য সেই চরিত্রে ১০০ শতাংশ।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় ‘টাইটানিক’। এতে জ্যাকের চরিত্রে অভিনয় করেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং রোজের চরিত্রে কেট উইন্সলেট। ছবিটি বিশ্বব্যাপী ২ দশমিক ২০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।