বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান আফ্রিদি আহমেদ জিসান। টাঙ্গাইলের কালিহাতীর মহেলা গ্রামের মোশারফ হোসেন ও জেসমিন আক্তার দম্পত্তির ছেলে সে। একমাত্র সন্তানকে অতি আদর, মায়া-মমতায় মানুষ করছেন; কিন্তু হায় বিধিবাম! এর মধ্যে ছয় বছর বয়সে সম্প্রতি তার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, এটি জন্মগত। তার চিকিৎসায় ব্যয় হবে প্রায় ৯ লাখ টাকা। তার গার্মেন্টকর্মী বাবা-মায়ের পক্ষে এত টাকা দিয়ে সন্তানের চিকিৎসা চালানো সম্ভব নয়। ছোট্ট জিসানকে বাঁচাতে সরকার, বিত্তবানসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তার স্বজনরা।
তার পারিবারিক সূত্র জানায়, জিসান জন্মের পর তার বাবা-মা তাকে নিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকায় চলে যান। বাবা মোশারফ হোসেন এক গার্মেন্টসে চাকরি করেন। যে টাকা বেতন পান তা দিয়ে তাদের তিনজনের সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। এছাড়া তার বাবা-মাকেও টাকা দিতে হয়। ইতোমধ্যে জিসানের বিভিন্ন পরীক্ষা, ওষুধে জমা ও ধার করা টাকা খরচ হয়েছে। পরবর্তী চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে জিসানের পরিবার।
জিসানের মা জেসমিন আক্তার বলেন, আমরা গরিব মানুষ। খুব কষ্টে দিন পার করতে হয়। এর মধ্যে একমাত্র সন্তান জিসানের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। যে সময় অন্য মায়েরা সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে চিন্তায় থাকে, সেই সময় আমি সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগানো নিয়ে চিন্তায় আছি। এত টাকার কথা মনে হলে অনেক সময় রাতে ঘুম আসে না।
তিনি বলেন, এ সমস্যার কারণে জিসান মাঝে মধ্যেই ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হচ্ছে। তার বুক অনেক উঁচু। স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে তার খুব কষ্ট হয়। সরকার বা সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসত তাহলে আমাদের অনেক উপকার হতো।
জিসানের বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, জিসানের প্রাথমিক চিকিৎসাতেই লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। সামর্থ্যবানদের সহযোগিতা না পেলে আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারব না। সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা যাবে।
অসুস্থ শিশু আফ্রিদি আহমেদ জিসানকে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে যোগাযোগ করুন- জেসমিন আক্তার, বিকাশ নং-০১৩০৭৫৩০৪৮০।