না, দেবর তার ভাবীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবে না। অন্য বেগানা নারীর মতোই ভাবীর সঙ্গে পর্দা করা ফরজ। দেবর-ভাবীর দেখা-সাক্ষাতের নিষেধাজ্ঞামূলক দিকনির্দেশনা কোরআন-সুন্নায় সুস্পষ্ট। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত উকবাহ ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
إِيَّاكُمْ وَالدُّخُولَ عَلَى النِّسَاءِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَرَأَيْتَ الْحَمْوَ قَالَ الْحَمْوُ الْمَوْتُ
‘তোমরা (মাহরাম নয় এমন) নারীদের কাছে যাওয়া পরিত্যাগ কর। এক আনসারী ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! দেবর সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি বললেন, দেবর তো মৃত্যু সমতুল্য।’ (বুখারি ৫২৩২, মুসলিম ৫৫৬৭)
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, اَلْحَمْوُ الْمَوْتُ ‘দেবর-ভাসুর মৃত্যু সমতুল্য ভয়ানক বিষয়।’ অর্থাৎ মৃত্যু যেমন জীবনের জন্য ভয়ানক, অনুরূপভাবে চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাইবোন ও দেবর ভাবী ও শালিকা দুলাভাইয়ের সাক্ষাত ঈমান আমলের জন্য তদ্রূপ ভয়ানক।
ভাবীর জন্য দেবরের সামনে যাওয়া জায়েজ নেই। কারণ, মৃত্যু থেকে মানুষ যেমন সব সময় আশঙ্কা করে এবং সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করে, মানুষের স্বাভাবিক স্বভাবজাত অভ্যাস হচ্ছে যে, মৃত্যুর কথা শুনলেই সেখানে যাবে না। অনুরূপভাবে আল্লাহর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটি মৃত্যুর সমতুল্য। তাই এটি ভয়ংকর বিষয়। এখানে তো পর্দা করতেই হবে; বরং আরো বেশি পর্দা করতে হবে, যেহেতু আল্লাহর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে দিয়েছেন যে, এটি হলো মৃত্যুর বিষয়।
সুতরাং আল্লাহকে ভয় করুন। উক্ত পরিবেশে যথাসাধ্য পর্দা ও শালীনতা রক্ষার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকুন। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন-
فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ
‘তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর।’ (সুরা তাগাবুন : আয়াত ১৬)