সাম্প্রতিক সময়ে এমন কিছু কাজ বেড়েগেছে, যাদের ব্যাপারে অভিশাপ দিয়েছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে পাকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম মানুষের সতর্কতার জন্য তুলে ধরেছেন। তারা কারা?
হজরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন-
لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ، وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ، وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ، الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ، مَا لِي لاَ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ
১. সৌন্দর্যের জন্যে ট্যাটু বা উল্কি অঙ্কণকারী।
২. যে ব্যক্তি ট্যাটু ও উল্কি গ্রহণকারী।
৩, ভ্রূ (ভ্রু প্লাগ) উত্তোলনকারী নারী। এবং
৪. দাঁত সরু করে মাঝে ফাঁক সৃষ্টিকারী নারী, যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক।
(রাবী বলেন) আমি কেন তাকে অভিশাপ করব না, যাকে আল্লাহর রাসুল অভিশাপ করেছেন এবং তা আল্লাহর কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে।’ (বুখারি ৫৯৪৩)
হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অভিশম্পাত করেছেন ওইসব নারীর ওপর-
৫. যারা পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং
৬. যে পরচুলা লাগাতে বলে।’ (বুখারি ৫৯৩৭)
মনে রাখতে হবে
ইসলাম মানুষের শরীরে আল্লাহপ্রদত্ত সৌন্দর্যের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছে। এটি আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করার শামিল, যাকে ইসলামি শরিয়ত শয়তানি কর্মকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়েছে। আল্লাহপ্রদত্ত শারীরিক সৌন্দর্যের মধ্যে অবৈধ ও নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে নিজেদের বিরত রাখা আবশ্যক। অন্যথায় হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী উল্লেখিত শ্রেণির ব্যক্তিরা অভিশপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এসব অভিশাপমূলক কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।