বিশেষ করে বাবা-মা দুজনই কর্মজীবী হলে সাধারণত সন্তান যাই বায়না করুক না কেন মান ভাঙাতে তা তার হাতের নাগালে এনে দেন।। দিনের পর দিন এই অভ্যাস তৈরি হলে, সন্তান আপনার বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে, বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের কাছেও এই রকম ভাবে জিনিস পাওয়ার প্রত্যাশা করবে। না পেলে প্রথমে কান্নাকাটি, তার পর রাগ, জেদ এবং শেষ পর্যন্ত বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে পারে।
দীর্ঘ দিন এমন চলতে থাকলে পরিস্থিতি আপনার হাতের বাইরে যেতে বাধ্য। সন্তানের আচরণে যেসব অসঙ্গতি দেখলে সাবধান হওয়া জরুরি-
১. অন্যদের শ্রদ্ধা না করা : আপনার চোখের আড়ালে সন্তান যদি বাড়ির বড়দের খারাপ কথা বলে, তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, তা হলে এখনই সাবধান হয়ে যান। সকলের সামনে গায়ে হাত না তুলে, আড়ালে ডেকে বোঝান।
২. বাড়ির কাজে সাহায্যকারীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা : প্রতিদিন বাড়িতে বাসন ধোয়া, ঘর মোছা, জামাকাপড় কাচার মতো কাজগুলি যারা করে থাকেন, তারাও যে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ এই শিক্ষা সন্তানকে ছোট থেকেই দিতে হবে।
৩. জিনিসের মূল্য না বোঝা : প্রত্যেক বাবা-মা চান, তাদের সন্তানের যেন কোনও অভাব না থাকে। তাই বলে বায়না করলে বা প্রয়োজন না থাকলেও জিনিস কিনে দেওয়ার মতো অভ্যাস থাকলে আপনার সন্তান কিন্তু জিনিসের গুরুত্ব বুঝবে না।
৪. মিথ্যাচার করা: সন্তান যদি কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে, তা হলে এখন থেকেই তাকে সাবধান করুন। খেলতে খেলতে বন্ধুর নামে দোষ দেওয়া থেকে এই অভ্যাস শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে এই অভ্যাসই বড় আকার ধারণ করে।