এবার শিক্ষক নেতা দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর বিরুদ্ধেই ‘মিনিস্ট্রি অডিট’ শুরু হচ্ছে। আগামী ৭ ও আট ডিসেম্বর পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের চার সদস্যের দল তদন্ত করতে ময়মনসিংহে যাবেন। যদিও পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে লেখা হয়েছে আজিজীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তদন্ত ও পরিদর্শনে যাবে। আজিজীর প্রতিষ্ঠানটির নাম কাতলাসেন কাদেরিয়া কামিল মাদরাসা। অডিট টিমের প্রধান রয়েছেন ডিআইএর সবচাইতে বিতর্কিতদের একজন হিসেবে পরিচিত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের একজ শিক্ষক। তিনি ডিআইএর শিক্ষা পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, আজিজী তার ফেসবুকে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করতে ‘মিনিস্ট্রি অডিটরদের’ বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরই বেনামীতে ও ব্যাকডেটে অভিযোগ জমা দেওয়ানো হয় মন্ত্রণালয়ে। তারপর তদন্তের নিদের্শ নাজিল করানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আজিজীর মাদ্রাসার পাশের একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক বলেন, মিনিস্ট্রি অডিটে গেলে সব কাগজ ঠিক থাকলেও ধরতে পারে। আর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফাঁকফোকরের অভাব নেই। অডিটের খবর শুনে প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতা ও টাকাপয়সার সব কাগজ ঠিক করা শুরু করেছেন মাদ্রাসার সবাই।

“শুনেছি আমাদের মাদ্রাসার তদন্ত টিমের প্রধান সম্প্রতি দশটা প্রতিষ্ঠানে তদন্তে গিয়ে কমপক্ষে ৭টার কয়েকজন শিক্ষকের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সই করা এক সাইজের নোট নিয়েছেন বলে শুনেছি,’ যোগ করেন তিনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তদন্ত, অডিট, পরিদর্শন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ডিআইএ। যার প্রধান ও যুগ্মপ্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩২টি পদেই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষক।