পাবনা-১: নিজামীর ছেলের বিপক্ষে কে পাচ্ছেন ধানের শীষ?
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনের মধ্যে বিএনপি ৩৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও পাঁচটি আসন এখনো ফাঁকা রেখেছে। এসব আসনের একটি হলো পাবনা-১ (সাঁথিয়া) আসন। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা—এই আসনটি বিএনপি জোট শরিক কোনো দলকে ছেড়ে দিতে পারে। তবে এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও ক্ষোভ বাড়ছে।
বিএনপির সূত্র বলছে, ফাঁকা রাখা পাঁচটি আসনের প্রতিটিতেই একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তে বিলম্বের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে—জোট সমীকরণ ও আসন সমঝোতার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সম্ভাব্য জোট হলে বিএনপি এসব আসন শরিক দলগুলোর জন্য ছেড়ে দিতে পারে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে আশঙ্কা, শরিকদের প্রার্থী দিলে এসব আসনে বড় ভরাডুবির ঝুঁকি তৈরি হবে এবং শেষ পর্যন্ত আসনগুলো জামায়াতের দখলে চলে যেতে পারে।
পাবনা-১ আসনটি জামায়াতের জন্য ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ আসন থেকেই জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ১৯৯১ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তার ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন।
অন্যদিকে বিএনপি এখনো এ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন খান। তবে শেষমেষ শরিকদের সঙ্গে সমঝোতায় এই আসনটি ছেড়ে দেয় বিএনপি। এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়েন গণফোরাম নেতা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।এবারও তিনি আলোচনায় এগিয়ে আছেন।
অপরদিকে আসনটিতে এবারও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সালাহ উদ্দিন খান। তার পাশাপাশি আরও দুইজন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন, যারা এলাকায় সক্রিয়ভাবে প্রচার চালাচ্ছেন।
বিএনপির এক মনোনয়নপ্রত্যাশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আসনটি বিএনপি সম্ভাব্য জোট শরিক গণফোরামকে ছেড়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গণফোরাম নেতা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ প্রার্থী হতে পারেন।