মালয়েশিয়ায় প্রেম, লক্ষ্মীপুরে এসে সুখের সংসার ইন্দোনেশিয়ান তরুণীর

জাগো বাংলা ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:০৩ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২২
মালয়েশিয়ায় প্রেম, লক্ষ্মীপুরে এসে সুখের সংসার ইন্দোনেশিয়ান তরুণীর

মালয়েশিয়ায় চাকরির সুবাদে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী সিতি রাহাইউর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের যুবক মামুন হোসেনের। সম্পর্কের পাঁচ বছর পর ছুটিতে লক্ষ্মীপুরে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। এ নিয়ে সাত মাসের মাথায় ইন্দোনেশিয়ার দুই তরুণী রায়পুরে ছুটে এলেন।

রোববার (৯ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার মাধ্যমেই এফিডেভিট ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই জুটি।

এরআগে গত ৮ মার্চ প্রেমের টানে একই উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদের কাছে ছুটে আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া। পরে তারা লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী মারুফ বিন জাকারিয়ার মাধ্যমে এফিডেভিট করে বিয়ে করেন।

ফানিয়া এখন বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। রাসেলের ব্যবসার সুবাদে তারা ঢাকায় আছেন। সেখানে তারা সুখের সংসার গড়ে তুলেছেন। রোববার রাতে রাসেল নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে মালয়েশিয়ার থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মামুন ও সিতিকা। পরে মামুন তাকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কেরোয়া গ্রামে সাজী বাড়িতে নিয়ে আসেন। রোববার লক্ষ্মীপুর আদালতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

সিতি রাহাইউ ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ে বাসিন্দা মৃত জুমিরান ও রাতনারিং দম্পতির মেয়ে। মামুন হোসেন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহ ও সেতারা বেগমের ছেলে। তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

মামুনের বরাত দিয়ে আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী জানান, ২০১৭ সালে চাকরির সুবাদে মালয়েশিয়ায় সিতির সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের বন্ধুত্ব হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের জন্য সুদূর মালয়েশিয়া থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ছুটি শেষে তারা মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন। তবে সিতি বাংলাদেশে থাকার জন্য আগ্রহী।

মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ জানান, মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সিতির সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। বাড়িতে এসে প্রথমদিনই খুব সহজে সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সিতির।

আদালত প্রাঙ্গণে সিতি রাহাইউ সাংবাদিকদের বলেন, মামুনকে তিনি অনেক বেশি ভালোবাসেন। সে ভালোবাসা থেকেই বিয়ে করেছেন। মামুনের পরিবারের সদস্যদের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ।

কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামুনের পরিচয় সঠিক। তবে বিয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। মামুনের বাবার সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানবো।