আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি কেন তাদের সমাবেশে জন্য ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে– এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়া পল্টনে পার্টি অফিসে সমাবেশ করার দাবির পেছনে বিএনপির কোনও ‘বদ উদ্দেশ্য’ আছে কিনা সেই প্রশ্নও তিনি তুলেছেন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব প্রশ্ন তোলেন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন এবং সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক এই দুই জনকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায়। ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংগঠিত হয়।
১৯৭১ সালে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, চিকিৎসকদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য কেন বিএনপি বেছে নিলো, এটাই এখন প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি যেতে চায় না, কারণ সেখানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। আর একাত্তরের ৭ মাচের্র ভাষণ বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে। যদিও সেই ভাষণকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ভাষণ হিসেবে।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক স্থান, যেখানে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী, মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন বিএনপির অপছন্দ, তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক উদ্যান। বিশাল জায়গা এখানে। আওয়ামী লীগের সব সমাবেশ ও জাতীয় সম্মেলন এখানেই হয়। তাহলে বিএনপি কেন তাদের পার্টি অফিসের সামনের মাত্র ৩৫ হাজার বর্গফুটের মতো ছোট্ট একটি জায়গায় তাদের সমাবেশের জন্য বেছে নিলো? তিনি জানতে চান, পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এতো দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোনও বদ উদ্দেশ্য আছে? কোনও মতলবে তারা এটা চায়?
আওয়ামী লীগ ১০ ডিসেম্বর সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।