নবম জাতীয় পে-স্কেল বা মহার্ঘ ভাতা এই মুহূর্তে হবে না এমন বক্তব্যের পর আলোচনা-সমালোচনা যেন থামছেই না। সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন পে-স্কেল বা মহার্ঘ ভাতা প্রদানের কোনও পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই বলে গত মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার এমন বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা।
দীর্ঘদিন ধরে নতুন পে-স্কেলের ন্যায্য দাবি জানানোর পর নির্বাচনের বছরে এসে অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে মেনে নিতে পারছেন না সরকারি কর্মচারীরা। এনিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে লেখালেখি।
বেতন বৃদ্ধির শেষধাপ!-শিরোনামে একজন সরকারি কর্মচারী লিখেছেন-‘সরকারি চাকুরিতে ১৯৯৪ সন থেকে কাজ করে আসছি। বেচে থাকলে হয়তো ২০২৮ সন পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে থেকে জনসেবার সুযোগ আছে। তবে চাকুরির শেষ কটি বছর হয়তো বার্ষীক বেতন বৃদ্ধির সুযোগ হতে বঞ্চিত হতে হবে। সকাল সন্ধ্যা শ্রমদিয়েও দিন শেষ ঘরে ফিরে পরিবারে সদস্যদের ভরনপোষণের দ্বায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের ব্যার্থতা খুব কষ্টের। ৯ম পেস্কেল চাইতে হবে কখনো ভাবিনি। দীর্ঘ ৮ বছর পরে হতাশ হতে হচ্ছে, চিন্তিত হতে হচ্ছে, বেদনায় ভারাক্রান্ত হতে হচ্ছে। সাম্য, সামাজিক ন্যাবিচার, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য উদ্দেশ্য আজ কতদূরে????’
স্বপন কুমার সিং নামের একজন লিখেছেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে, সবই তো বাড়াতে ছারলেন না, আমাদের দিকে এবার তাকান। ১১ থেকে ২০ সবাই খুব অনাহারে আছেন। এদের আত্মক্রন্দন আপনি শুনতে পারেন কি? মনে হয় পারন না। পারলে এখনই ৯ম পে স্কেল এর ব্যবস্থা নিন। তাহলে এদের কাছ থেকে পাবেন দোয়া ভালবাসা নতুবা অভিষাপ। সবাই হতাস হয়ে আপনার দিকে চেয়ে আছেন। ১৫ সালে তেল ছিল ৫০-৬০ টাকা আর এখন ২০০+ আর কিছু নাই বল্লাম, উপর আমলারাদের এমনিই বেতন বেশি তারপর আবার এক্সট্রা ইনকাম তাদের না হলেও চলবে। তাদের অসুবিধা হচ্ছে শুনেছেন কি কখনো আমরা শুনেনি, শুনবেনও না। জুলাই ২৩ থেকে অন্তত ১-১০ ৩৫% এবং ১১ থেকে ২০ দের ৭৫% মহার্ঘ ভাতা চালু করেন। নাহলে আল্লাহুতালা নারাজ হবেন। সামনে কঠিন সময় প্রকৃতি কাউকে ছারবেন না। একটু দয়া করেন। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।