১-২ মিনিটেই নারীদের ফোনের ব্যক্তিগত ছবি হাতিয়ে নেন ‘ডেলিভারিম্যান

জাগো বাংলা ডেস্ক প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
১-২ মিনিটেই নারীদের ফোনের ব্যক্তিগত ছবি হাতিয়ে নেন ‘ডেলিভারিম্যান

গাজীপুরে অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে ডেলিভারিম্যানের প্রতারণায় পড়েছেন কয়েকজন কিশোরী। অভিনব কায়দায় মোবাইল ফোন থেকে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে এক ডেলিভারিম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, অনলাইনে অর্ডার দেওয়া পণ্য বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়ে মাত্র এক–দুই মিনিটে গ্রাহকের অজান্তে মুঠোফোনের ছবি হাতিয়ে নেন তিনি। এরপর সেটি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আদায় করেন টাকা।

গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান ওরফে আল-আমিন (২২) জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার চরগাঁওকোড়া গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে। তাকে গাজীপুর মহানগরীর রথখোলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ-কমিশনারের সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রেজওয়ান আহমেদ।

তিনি বলেন, শনিবার এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে তার মেয়ের (১৫) আপত্তিকর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ভয় দেখিয়ে টাকা দারি করছে দারাজের একজন ডেলিভারিম্যান। টাকা না দিলে তার মেয়ের ছবি ভাইরাল করার হুমকি দেওয়া হয়। এতে তার মেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। লেখাপড়া বন্ধ করে দেয় এবং একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডেলিভারিম্যান মিজানুর রহমান ওরফে আল-আমিনকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, দারাজ অনলাইন শপে নারী ও উঠতি বয়সী মেয়েদের টার্গেট করতেন তিনি। অনলাইনে পণ্য অর্ডার দেওয়ার পরে ডেলিভারির সময় ওই ডেলিভারিম্যান ক্রেতার মোবাইল ফোন থেকে কৌশলে ছবি ও অন্যান্য তথ্য নিয়ে যায়। পরে ডেলিভারিম্যান নারী ক্রেতাদের গুগল ফটোতে থাকা সব ছবি তার মোবাইলে ডাউনলোড করে নিতেন।

এভাবেই ডেলিভারিম্যান অনেকের আপত্তিকর ও গোপন মুহূর্তের ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন। তাদের কাছে টাকা চাইতেন, টাকা না দিলে অনলাইনে এসব ছবি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। গ্রেপ্তার মিজানুরের মোবাইলে অনেক নারীর ব্যক্তিগত মুহূর্ত ও আপত্তিকর ছবিবসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ১১টা ইমেইল আইডি লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। যাদের আইডি লগইন অবস্থায় পাওয়া গেছে তাদের বিস্তারিত নাম-ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ওই আসামির বিরুদ্ধে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে সদর ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।