সিনেমা হলো চরিত্রের খেলা। যে চরিত্র যেমন, সেটাকে তেমন রূপে-ঢঙে উপস্থাপন করেন অভিনয়শিল্পীরা। এজন্য তাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। কখনও শরীরের ওজন কমিয়ে স্লিম-ফিট হতে হয়, কখনও আবার বাড়াতে হয়। বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে একটা অঘোষিত প্রতিযোগিতা রয়েছে। তা হলো- কে কতটা স্লিম আর ফিট থাকতে পারেন। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে অনেকেই স্লিম ফিগারের চিন্তা ভুলে ওজন বাড়িয়ে নেন। তেমনই কয়েকজন অভিনেত্রীর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
বিদ্যা বালান
হিন্দি সিনেমার গুণী অভিনেত্রীদের একজন তিনি। তার সবচেয়ে সফল সিনেমা ‘দ্য ডার্টি পিকচার’। এই ছবিতে তিনি দক্ষিণী সিনেমার একসময়ের আবেদনময়ী অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সেজন্য ১২ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছিলো বিদ্যাকে। এরপর থেকে আর কখনও কথিত স্লিম ফিগারের পেছনে ছোটেননি তিনি। নিজের স্বাভাবিক গঠনকেই স্বাচ্ছন্দ্যে উপস্থাপন করে চলেছেন।
ভূমি পেডনেকর
এ প্রজন্মের প্রশংসিত অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকর। ‘দম লাগা কে হাইসা’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছে তার। এতে তিনি একজন স্থূলকায় গৃহিণীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এজন্য তাকে অনেকখানি ওজন বাড়াতে হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তিনি সেই ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন।
নিমরত কৌর
‘দাসভি’ সিনেমার জন্য নিজের ১৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন এ অভিনেত্রী। যদিও এর জন্য তাকে অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিলো। তবে সিনেমাটি মুক্তির পরই তিনি জিম ও ডায়েটের মাধ্যমে আগের রূপে ফিরে এসেছেন।
সোনাক্ষী সিনহা
স্লিম ফিগার নিয়ে কখনও ডায়েট যুদ্ধে নামেননি সোনাক্ষী। তার ক্যারিয়ার গ্রাফে নজর দিলেই সেটা বোঝা যায়। তবে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) মুক্তি পাওয়া ‘ডাবল এক্সএল’র জন্য আরও ওজন বাড়িয়েছেন তিনি। জানা যায়, চরিত্রের জন্য ১৫-২০ কেজি বাড়াতে হয়েছে তাকে।
হুমা কুরেশি
সোনাক্ষীর সঙ্গে ‘ডাবল এক্সএল’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন হুমা। একই কারণে তাকেও ১৫-২০ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছে। ছবিটি নির্মিত হয়েছে মূলত বডি শেমিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশে। এতে দুজন স্থূলকায় তরুণীর ভূমিকায় আছেন সোনাক্ষী ও হুমা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া