সম্প্রতি ভারতের হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘তেলেঙ্গানা বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব’। এতে সেরা অভিনেত্রী (জনপ্রিয়) বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন টলিউডের প্রথম সারির নায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। সুখকর স্মৃতি নিয়ে ফিরে এসেছেন কলকাতায়। এরপর মুখোমুখি হয়েছেন গণমাধ্যমের।
শ্রাবন্তী জানান, তিনি এর আগেও অনেকবার হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন। তবে এবারের সফর বিশেষ। কারণ, এবার তিনি একটি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন এবং সেখানে পুরস্কারও পেয়েছেন।
সাধারণত বাণিজ্যিক মাসালা সিনেমায় দেখা যায় শ্রাবন্তীকে। তবে ছকভাঙা কাজেও যে তিনি নৈপুণ্য দেখাতে পারেন, তা প্রমাণিত হয়েছে একাধিকবার। এজন্য আক্ষেপ করে শ্রাবন্তী জানান, কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি তাকে ঠিকমতো ব্যবহার করেনি।
শ্রাবন্তীর ভাষ্য, “হ্যাঁ, এটা সত্য যে আমাকে কম ব্যবহার করা হয়েছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, আমাকে একটা ছকের মধ্যেই নেওয়া হচ্ছিল। তবে গত কয়েক বছরে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আমি বড় পরিসরের চরিত্রগুলোতে প্রস্তাব পেয়েছি, যেগুলোতে নিজের দক্ষতা ফুটিয়ে তোলার সুযোগ আছে। তবে অবশ্যই বলতে হয়, এখানে খুব কম নির্মাতা আছেন, যিনি আমাকে চমৎকার চরিত্র দিয়েছেন, যা সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত; যেমন ‘গয়নার বাক্স’, ‘বুনো হাঁস’, কিংবা ‘উমা’ ।”
বাণিজ্যিক সিনেমার গুরুত্বও অস্বীকার করেন না শ্রাবন্তী। তার মতে, ‘গ্ল্যামারের অংশ হতে আমারও ভালো লাগে, নাচ-গান-বিনোদনে ভরপুর মাসালা ছবির কাজ পেতে ভালো লাগে। বাণিজ্যিক সিনেমাই আমাকে তারকা বানিয়েছে। সুতরাং আমি এটাকে অস্বীকার করতে পারি না।’
শ্রাবন্তী মানেই সোশাল মিডিয়ায় ট্রল-সমালোচনা, এটা গত কয়েক বছরের চেনা চিত্র। ব্যক্তিগত জীবনের কিছু ঘটনা তাকে নিন্দার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। তবে এসব ট্রল এখন আর গায়ে মাখেন না বলে জানালেন শ্রাবন্তী।
তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল, যখন ট্রল আমাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করতো। কিন্তু এই সময়ে আমি এসব নিয়ে খুব একটা ভাবি না। নিন্দুকদের এড়িয়ে যারা আমাকে পছন্দ করে, তাদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনি যা-ই করুন না কেন, মানুষ কথা বলবেই। কিন্তু এতে আমার কিছু যায় আসে না। নিজের নিয়মেই আমি জীবন নির্বাহ করি। যারা ট্রল করেন, তারা তো আমার বোঝা ভাগ করে নেবেন না। আমি জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি এবং শিখেছি কীভাবে শান্ত থাকতে হয় এবং কাজ চালিয়ে যেতে হয়।’
সম্প্রতি নতুন দুটি সিনেমার কাজ করেছেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। এগুলো হলো রবিন নামবিয়ার ‘ডিয়ার ডি’ এবং সায়ন্তন ঘোষালের ‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া