নিজের জন্মদিনে ভারতের বনে চিতা ফিরিয়ে এনেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৭০ বছর আগে বন্য প্রাণীটিকে ভারতে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
ভারতীয় বনাঞ্চলে পুনঃপ্রবর্তন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া থেকে বিমানযোগে মোট আটটি চিতা আনা হয়। এর মধ্যে তিনটিকে শনিবার মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়।
তবে এখনই দর্শনার্থীরা চিতাগুলো দেখার সুযোগ পাচ্ছে না। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কয়েক মাস সময় দেওয়া হবে স্থলের দ্রুততম প্রাণীগুলোকে। চিতা ঘণ্টায় ৭০ মাইল (১১৩ কিলোমিটার) পর্যন্ত গতিতে ছুটতে পারে।
একসময় ভারতেই অনেক চিতা ছিল। অনলাইন সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা পারভীন কাসওয়ান ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন ভারতে চিতা বিলুপ্ত হয়েছিল।
টুইটারে কাসওয়ান ১৯৩৯ সালের একটি ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ভারতের শেষ চিতাগুলো যেভাবে শিকার করা হয় বা শিকারে সহায়তা করতে পোষ মানানো হয়।
আরেক টুইটে তিনি লেখেন, ‘ঐতিহাসিক নথি থেকে জানা যায়, চিতা মানুষের ওপর কমই হামলা করেছে। বরং অনেক চিতাকে পোষ মানানো হয়েছিল এবং শিকার করায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হতো। ’
পারভীন কাসওয়ান লিখেছেন, সেই সময় স্থানীয় রাজরাজড়া ও ব্রিটিশরা চিতাসহ অনেক বন্য প্রাণীই শিকার করত। বন্য প্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২ পাস হওয়া পর্যন্ত অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। বন্য চিতা ওই সময়ের মধ্যেই ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
চিতা দিয়ে কয়েকটি শিকার করার ছবিও শেয়ার করেছেন কাসওয়ান। ১৮৮৫-৮৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রিন্স অব ওয়েলসের ভারত সফরে চিতা দিয়ে শিকার করার ছবিও আছে এর মধ্যে।
আরেক ছবিতে ১৯২১-২২ সালে ভারতে প্রিন্স অব ওয়েলসের সফরের সময় হরিণ ধরতে চিতার ব্যবহারের দৃশ্য দেখা যায়। এতে কাসওয়ান ক্যাপশন দেন, ‘এই ছবিগুলো হলো একটি প্রমাণ। আমরা যদি কোনো কিছু সংরক্ষণে মনোযোগ না দিই তাহলে অবশিষ্ট থাকে কেবল ছবি। ’
সূত্র : এনডিটিভি