মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা রাখে যে দিনগুলো তার একটি হলো শুক্রবার। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর মধ্যে এর গুরুত্ব ও মর্যাদা এতো বেশি যে একে সপ্তাহের ঈদের দিন বলা হয়েছে। এবং এদিনে আমলের জন্য ফজিলত রাখা হয়েছে। প্রথমত এই দিনে যিনি পবিত্র কোরআনের সুরায়ে কাহাফ তেলাওয়াত করবেন, তিনি শেষ জামানায় দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবেন।
দাজ্জাল যখন মানুষকে সৎপথ থেকে বিপথে নিয়ে আল্লাহর বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে এবং বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে সেই কঠিন মুহুর্তে জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াতকারী আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে রক্ষা পাবে। সিরাতুল মুস্তাকিম আঁকড়ে ধরতে পারবে। দাজ্জালের ধোঁকা তাকে সরল পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সবধরনের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।
হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। -(সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)
এই আমলের কথা একসঙ্গে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
জুমার আরো চারটি আমলের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তন্মধ্যে কিছু আমল ধারাবাহিক উল্লেখ করা হচ্ছে- এক. গোসল করা। দুই. উত্তম পোশাক পরিধান করা। তিন. সুগন্ধি ব্যবহার করা। চার. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—
যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে।-(আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)