হজরত মুসা আলাইহিস সালাম এক কিবতি লোককে হত্যা করে। কিন্তু এটি তার ইচ্ছা ছিল না বরং এটি ছিল শয়তানের কারসাজী। যখনই লোকটি মারা যায়, তখনই হজরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আর আল্লাহ তাআলাও তার প্রার্থনামে কবুল করে নেন। দোয়াটি হলো-
رَبِّ اِنِّیۡ ظَلَمۡتُ نَفۡسِیۡ فَاغۡفِرۡ لِیۡ
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি’
অর্থ : ‘হে আমার রব! নিশ্চয়ই আমি আমার নফসের প্রতি জুলুম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।’
হজরত মুসা আলাইহিস সালামের এ ক্ষমা প্রার্থনার পর মহান আল্লাহ ঘোষণা দেন-
فَغَفَرَ لَهٗ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ
‘এরপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা পেয়ে মুসা আলাইহিস সালামের শুকরিয়া। কোরআনে এভাবে এসেছে-
قَالَ رَبِّ بِمَاۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ فَلَنۡ اَکُوۡنَ ظَهِیۡرًا لِّلۡمُجۡرِمِیۡنَ
‘মুসা বলল, ‘হে আমার রব! আপনি যেহেতু আমার প্রতি নেয়ামত দান করেছেন, তাই আমি কখনো আর অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ১৭)
মুমিন মুসলমানের উচিত, গুনাহ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করা জরুরি। পাশাপাশি দোয়া কবুল হওয়ার আশায় শুকরিয়া জ্ঞাপনের দোয়া করাও উত্তম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় ক্ষমা প্রার্থনা ও শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।