ইসলামে মানতের বিষয়টি পছন্দনীয় নয়। শরিয়ত মানতের পরিবর্তে নফল সদকার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না।’ (বাইহাকী, ৭৩৭৪)।
মানতের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা প্রসঙ্গে সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন আমাদের মানত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মানত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মানতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ৪৩২৫)
এরপরেও যদি কেউ মানত করে তাহলে তা থেকে ফেরার কোন সুযোগ নেই। তাই মানত করা বিষয়টি পালন করা আবশ্যক।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘তারা যেন মান্নত পূর্ণ করে। (সূরা হজ, আয়াত, ২৯)
তাই কেউ যদি মানত করার পর তা পূরণ করতে ভুলে যায় তাহলে যথাসম্ভব স্মরণ করে তা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু যদি কোনো ক্রমেই স্মরণে না আসে তাহলে সেক্ষেত্রে এর কাফফারা দিতে হবে না। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
মুহাম্মদ ইবন মুসাফ্ফা হিমসী (র).... ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে নবী (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ আমার উম্মতকে ভুল–বিস্মৃতি ও জোরপূর্বক কৃত কাজের দায়–দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। (সুনান ইবনে মাজাহ্ : হাদিস নং- ২০৪৫)
তবে নিজের এই ভুলের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা ও ইস্তেগফার করা উচিত। আর সম্ভব হলো একটি মান্নতের কাফফারা আদায় করে নিতে হবে।
মান্নতের কাফফারা
পবিত্র কুরআনে মান্নতের কাফফারার চারটি স্তর উল্লেখ করা হয়েছে।
১. দশজন মিসকিনকে দুবেলা পেট ভরে খাইয়ে দেয়া।
২. অথবা ১০ জন মিসকিনকে একজোড়া করে কাপড় প্রদান করা।
৩. অথবা গোলাম আজাদ করা।
৪. উপরোক্ত তিনটির কোনোটি করার সাধ্য না থাকলে তিন দিন রোজা রাখা।