মুক্তাদিদের পরিচয় হলো- মুদরিক, লাহিক ও মাসবুক। নামাজের জামাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার দিক থেকে তিন ধরনের পরিচয় বহন করে মুক্তাদিরা। মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে জামাত পাওয়া-না পাওয়ার দিক থেকে এ পরিচয়ে পরিচিত হয় মুসল্লি। এ পরিচয়ের বিবরণগুলো তুলে ধরা হলো-
১. মুদরিক কারা?
মসজিদে নামাজ পড়তে এসে যে মুক্তাদি জামাতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইমামের সঙ্গে পূর্ণ নামাজ পেয়েছে, এ মুসল্লিকে মুদরিক বলে।
২. লাহিক কারা?
মসজিদে নামাজ পড়তে এসে ইমামের সঙ্গে নামাজ শুরু করে কিন্তু নামাজরত অবস্থায় যে মুক্তাদির অজু ছুটে যায় তাকে লাহিক মুসল্লি বলে।
লাহিক মুসল্লি কী করবেন?
লাহিক মুসল্লি কোনো কথা না বলে সরাসরি কাতার ভেদ করে অজু করতে চলে যাবে। অজু করে ফিরে এসে ইমামের সঙ্গে নামাজে যোগদান করবে। ইমামের সালাম ফিরানোর পর সে উঠে দাঁড়িয়ে (ছুঁটে যাওয়া) বাকি নামাজ যথারীতি আদায় করবে।
অজু করে ফিরে আসতে আসতে যদি ইমামের নামাজ শেষ হয়ে যায়, তবে সে বাকি নামাজ একাকি আদায় করবে। তবে শর্ত হচ্ছে এ সময় কোনো প্রকার কথা বলা যাবে না। এ সময়ের মাঝে কথা বললে পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
৩. মাসবুক কারা?
মসজিদে নামাজ পড়তে এসে যে মুক্তাদি ইমামের সঙ্গে শুরু থেকে নামাজ পায়নি বরং নামাজের কিছু অংশ পেয়েছে, তাকে মাসবুক মুসল্লি বলে। মাসবুক মুসল্লিরা ছুঁটে যাওয়া নামাজ ইমামের সালাম ফিরানোর পর পড়ে নেবে। তারা তাদের ছুটে যাওয়া নামাজ যথারীতি কিরাতসহ আদায় করবে এবং এতে ভুল হলে সাহু সিদজাও করতে হবে।
প্রথমে মাসবুক হওয়া কিরাতওয়ালা রাকাত আদায় করবে এবং পরে কিরাতবিহীন রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়বে। তারপর শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ-দরূদ-(দোয়ায়ে মাছুরা) পড়ে সালাম ফেরাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মুদরিক মুক্তাদি হওয়ার পাশাপাশি লাহিক ও মাসবুক নামাজ যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।