দুনিয়ার সমাজগুলোতে সবাই মিলে যে কাজ করে, তার ফলাফল খুবই দ্রুত পাওয়া যায়। আবার দশের কাজের ফলাফল হয় প্রাণবন্ত ও উত্তম। তেমনি মুমিন বান্দাগণ যদি জামাতে নামাজ আদায় করেন তবে সে নামাজ কবুল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাতে নামাজ পড়ার জন্য জোর নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কোন কোন নামাজ জামাতে পড়তে হয়।
যেসব নামাজ জামাতে পড়তে হয়, তাহলো-
১. দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। মসজিদেই নামাজ আদায় করতে হবে। প্রয়োজন সাপেক্ষে মসজিদের বাইরেও জামাতে নামাজ আদায় করা যাবে।
২. জুমা এবং দুই ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য জামাত শর্ত।
৩. কুসূফের নামাজ জামাতে আদায় করা সুন্নাতে মায়াক্কাদাহ।
৪. রমজান মাসে তারাবিহ পড়ার সময় বিতরের নামাজ জামাতে পড়া মুস্তাহাব।
৫. জানাজার নামাজ ফরজে কেফায়া। এটিও জামাতে পড়তে হয়।
৬. সমাজের বিভিন্ন প্রয়োজনে বিপদে-মুসিবতে ইজতেমায়ীভাবে জামাতে নামাজ আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন মানুষ বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়ে থাকে। এটিও জামাতে পড়তে হয়।
৭. তারাবিহ নামাজ জামাতে পড়াও সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। তবে জামাত না পেলে বা পড়তে না পারলে একাকিও পড়া যায়।
সুতরাং নামাজের জামাতের ব্যাপারে উম্মাতে মুসলিমার সতর্ক হওয়া জরুরি। আল্লাহ তাআলা সবাইকে জামাতের সহিত নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।