Logo
Logo
×

লাইফস্টাইল

রাতারাতি ব্রণ দূর সম্ভব, ঘরোয়া যে ৪ উপায়ে বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতা

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

রাতারাতি ব্রণ দূর সম্ভব, ঘরোয়া যে ৪ উপায়ে বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতা

শীত এলেই বিয়ে, পার্টি, অনুষ্ঠান একের পর এক লেগেই আছে। আর যে কোনো অনুষ্ঠানেই নজরকাড়া হতে চাইলে এমনভাবে রূপচর্চা করতে হবে যে, ত্বক ভেতর থেকে তরতাজা ও জেল্লাদার দেখায়। কিন্তু শীতের সময়ে সমস্যা হলো— ত্বক খুব তাড়াতাড়ি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। সে জন্য সকালবেলা ভালো করে ক্রিম মেখে বেরোলেন, কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যে দেখলেন ত্বকে টান ধরেছে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও পড়তে শুরু করেছে। এতে নাজেহাল করে দেবে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা। নাকের দুই পাশ, ঠোঁটের কোণা, কপালে কিংবা গালে গজিয়ে ওঠা বড়সড় ফুসকুড়ি কিংবা ব্রণ রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। এসবে আবার প্রবল যন্ত্রণাও হয়। কিন্তু যদি সময় কম থাকে এবং একদিনেই ব্রণ দূর করতে হয়, তাহলে মেকআপ নয়, ঘরোয়া কিছু উপায়ে তা সম্ভব। যন্ত্রণাহীনভাবে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা দূর করবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে সহজভাবে ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ-ফুসকুড়ি দূর করা সম্ভব—

লেবুর রস

শীতকালে ব্রণের দাগ হালকা করতে লেবুর ব্যবহার অপরিহার্য। কারণ লেবুতে আছে ভিটামিন 'সি', যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলোর মেরামত করতে সহায়তা করে থাকে। এটিতে আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডও রয়েছে, যার ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য দাগ ফিকে করতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোদে বাইরে না যান, তবে এটি সরাসরি আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বক খুব সংবেদনশীল হবে। 

তুলসি ও হলুদ

কাঁচাহলুদ দুই চামচ পরিমাণ বেটে নিন। একইভাবে ২০-২৫টা তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন। তুলসি পাতা বাটা আর কাঁচাহলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের ওপরে লাগিয়ে রাখুন। ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, যখন শুকিয়ে যাবে, পরে তা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে কয়েকবার লাগান। সারা দিনের জন্য একবারে বানিয়ে কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। দেখবেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রণ দূর হয়ে যাবে। ব্রণ বা ফুসকুড়ির কারণে যে দাগ পড়ে ত্বকে, তাও মিলিয়ে যাবে।

নিমপাতা ও গোলাপজল

নিমপাতা খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক। আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। পাতাসমেত গোটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙে নিন। পাতাগুলো ধুয়ে পানিতে মিনিট দুয়েক ফোটান। এরপর পানি থেকে পাতা তুলে বেটে নিন। এবার পাতা বাটায় দুই চা চামচ পরিমাণ গোলাপজল মেশান। এই মিশ্রণটা ব্রণের ওপরে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট। এরপর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দ্রুত শুকাবে এবং ব্যথাও কমবে যাবে।

চন্দনবাটা

অল্প গোলাপজলে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটি ব্রণের ওপরে লাগান। এরপর চন্দনে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার