শিশুদের প্রায়ই কোনো না কোনো সময় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি সাধারণ সমস্যা। তবে যথাযথ জ্ঞানের অভাবে এ থেকে বড় অসুবিধা তৈরি হতে পারে।
লক্ষণ:
> সপ্তাহে তিন বারের কম পায়খানা হওয়া।
> পেট ব্যথা
> শক্ত মল
> রক্তপাত হওয়া
> হঠাৎ তরল পায়খানা কাপড়ে লেগে যাওয়া
> মলে প্রচুর দুর্গন্ধ
কখন ডাক্তার দেখাবেন
২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে জ্বর, অরুচি, রক্তপাত, পেটফুলা, ওজন কমা, পেট ব্যথা ও পায়ুপথে কিছু বের হয়ে আসা।
কারণ
বয়সভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে। প্রথম ৬ মাস ফর্মুলা খাওয়া বাবু। মূলত সঠিক নিয়মে ফর্মুলা না বানানো। তারপর ৬-১২ মাস সঠিক নিয়মে বাড়তি খাবার শুরু না করা। ১ বছর থেকে ২ বছর বয়সে টয়লেট ট্রেনিং ঠিকমতো না হলে। এ ছাড়া প্রথম স্কুল শুরু হলে, বাড়ির বাইরে বেশিক্ষণ থাকতে হলে যেমন- ভ্রমণ বা বেড়াতে গেলে। আবার প্রয়োজনের পরও মলত্যাগ না করা। ওষুধ- এন্টিডিপ্রেসেন্ট, অন্য কোনো অসুখের কারণে, অতিরিক্ত গরুর দুধ বা তরল ও আঁশযুক্ত খাবার কম খেলে।
জটিলতা
এনাল ফিসার, রেক্টাল প্রলাপ্স, এনকোপ্রেসিস।
প্রতিরোধ
খাদ্য-
শিশুকে জীবনের শুরু থেকেই আঁশযুক্ত খাবার খেতে দেয়া উচিত।
নিয়ম- রুটি জীবনে অভ্যস্ত করা।
রুটিন জীবনে অভ্যস্ত করা, বয়স বিবেচনা করে নিয়মিত ব্যায়াম করাতে হবে, প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার গুরুত্ব বোঝাতে হবে।
করণীয়- খেজুর, খোসা সহ আপেল, আলু- বোখারা ও জুস দিন।
যেসব খাবারে সমস্যা হয়েছে তা বাদ দিন। সম্ভব হলে শিশুকে হাঁটান।
চিকিৎসা
সাধারণত সঠিক খাবার নির্বাচনের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা যায়। তবে অবশ্যই প্রয়োজনে ডাক্তার দেখাবেন। ভালো খাবার, খোসা সহ আপেল/নাশপাতি, পীচ, রাস বেরী, ব্রুকলী, গাজর, ফুলকপি,ম, সঠিকভাবে টয়লেট করানো ও পেটের উপর ম্যাসাজ করানো। শিশুকে চিৎ করে পা সামনে পেছনে করা।
লেখক: ডা. সৈয়দা নাফিসা ইসলাম, কনসালটেন্ট, শিশু বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।