মিথ্যা খুব সহজ একটি গুনাহ। ছোট একটি মিথ্যা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার পেছনেও থাকে কোনো না কোনো মিথ্যা। শিশুদের কোমল মনে যদি একবার কোনো মিথ্যা বা খারাপ ধারণা প্রবেশ করে, তাহলে তা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে থেকে যায়।
তাই নবী করিম (সা.) শিশু-কিশোরদের সঙ্গে খেলাচ্ছলেও মিথ্যা বা প্রতারণা করতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমের (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুল (সা.) আমার ঘরে বসা ছিলেন। এমন সময় আমার মা আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে কিছু দেওয়ার ওয়াদা দিলেন। রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি কি দিতে ইচ্ছা করেছেন? আমার মা জানালেন যে তিনি আমাকে একটি খেজুর দিতে ইচ্ছা করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, যদি তুমি একটি মিথ্যা ওয়াদা দিয়ে তোমার সন্তানকে আহ্বান করো, তাহলে তা তোমার আমলনামায় একটি মিথ্যা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯১)
বাচ্চাদের মন ভোলানো বা তাদের কান্না থামানোর জন্য তাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভন দেওয়া মিথ্যার নামান্তর। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো শিশুকে বলল, এসো তোমাকে (এটা-সেটা) দেব। তারপর দিল না; এটিও একটি মিথ্যা। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৯৮৩৬)