ভালোবাসার পুরোটাই নির্ভর করে স্বচ্ছতা ও বিশ্বস্ততার ওপর। যেহেতু দিনের বেশিরভাগ সময় একসঙ্গে কেটে যায় তাই দুজনের মধ্যে খুব একটা আড়াল থাকে না। সৌজন্যতার থেকে স্বাচ্ছন্দ্য তখন বেশি প্রাধান্য পায়। বাথরুম ব্যবহারের পর দরজা খোলা রেখেই চলে আসা, স্ত্রীকে ধরে রেখে তাকে বমি করায় সাহায্য করার মতো বিষয়গুলো খুব স্বাভাবিক হয়ে যায়। যদিও এগুলো দেখতে অযৌক্তিক, অদ্ভুত আর বিরক্তিকর মনে হয়, তবে এতে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই মিশে থাকে না। জেনে নিন এমন কিছু অদ্ভুত কাজ সম্পর্কে যেগুলো বেশিরভাগ স্বামী-স্ত্রী করে থাকে, আপনার হাসি পাবে নিশ্চিত-
ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা: এটি অনেকের কাছেই জঘন্য একটি বিষয় মনে হতে পারে। কারও কারও জন্য হয়তো বিরক্তিকরও। ব্রণ খোঁটাখুঁটির অভ্যাস আসলেই ক্ষতিকর কারণ এটি ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে সেইসঙ্গে কালচে দাগও পড়ে যায়। কিন্তু এই অভ্যাসকেই অনেকে সন্তুষ্ট থাকেন। এমন অনেক দম্পতি আছে যারা পরস্পরের ব্রণ খুঁটে দেওয়ার কাজটি খুব আনন্দের সঙ্গে করে থাকে। এটি তাদের বিনোদনের অংশও বলা যায়!
বাথরুমের দরজা খোলা রাখা: অনেক দম্পতিরই এই অভ্যাস আছে। তারা বাথরুম ব্যবহারের সময় দরজা বন্ধ রাখার কথা বেমালুম ভুলে যান। এই অভ্যাস আসলেই বিশ্রী এবং বিরক্তিকর কারণ বাথরুম ব্যবহারের সময় দরজা বন্ধ রাখা খুবই স্বাভাবিক একটি সৌজন্যতা। কিন্তু ভালোবাসার ক্ষেত্রে দৃশ্যত কোনো সীমানা থাকে না।
মলত্যাগ সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলে: যখন কোনো দম্পতি মলত্যাগ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কোনো রাখঢাক না রেখেই কথা বলতে পারে তখন বুঝে নিতে হবে তারা সম্পর্কের সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গায় পৌঁছে গেছে। অদ্ভুত হলেও বেশিরভাগ দম্পতির কাছে এটি খুব স্বাভাবিক বিষয়। কারণ তারা মনে করে যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা সব বিষয়েই স্বচ্ছ।
পরস্পরের বগলের গন্ধ নেওয়া: অনেক দম্পতির কাছেই একটি স্বাভাবিক অভ্যাস হলো পরস্পরের বগলের গন্ধ নেওয়া! এটি অনেকেই করে থাকে। বিশেষ করে লাল গালিচায় অস্কার আইজ্যাক এবং জেসিকা চ্যাস্টেইনের সেই দৃশ্যের পর, যেখানে অস্কার রোমান্টিকভাবে জেসিকার বগলে সবার সামনে শুঁকেছিলেন। এটি তারা অন্তরঙ্গ হওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবেও ধরে নিতে পারে।
চুইংগাম ভাগাভাগি করে খাওয়া: জ্বী, আপনি ঠিকই পড়েছেন। কোনো কোনো দম্পতি সত্যিই চুইংগাম ভাগাভাগি করে খায়। এটি সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে যারা মনে করে যে সঙ্গীর মুখের খাবার খাওয়া যায়, তদের জন্যই এটি সহজ। সেইসঙ্গে যারা সব সময় মুখ পরিষ্কার রাখে তাদের মধ্যে এই অভ্যাস থাকতে পারে।
তোয়ালে ভাগাভাগি করা: হয়তো একজনের তোয়ালে পরিষ্কার করা হয়নি, তখন কী করবেন? বেশিরভাগই তখন সঙ্গীর তোয়ালে নিয়ে শরীর মুছে ফেলে। তোয়ালে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করলে নাকি ভালোবাসাও বাড়ে! অন্যের তোয়ালে ব্যবহার করা বিরক্তিকর ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বলেই সবার জানা। কিন্তু ভালোবাসা ও যুদ্ধের ক্ষেত্রে যে সবকিছুই বৈধ!
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে