কোনো পুরুষের জন্যই এটি মেনে নেওয়া সহজ নয় যে তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে গিয়েছে। তবু এমন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াতে হতেই পারে! কারণ জীবনের সব সময় একইভাবে সরল হিসেবে চলে না। এ ধরনের সমস্যার শুরুতেই যদি সামলে নেওয়া যায় তাহলে একটা সময় সম্পর্ক গিয়ে ভাঙনে ঠেকে। সেখান থেকে আর ফেরার উপায় থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে আপনার করণীয় কী-
প্রমাণ ছাড়াই সন্দেহ করবেন না
অনেকেই আছেন যারা কেবল সন্দেহের বশে অনেককিছু করে ফেলেন। নিজে কিছু দেখেননি বা শোনেননি, হাতে কোনো প্রমাণও নেই কিন্তু কেবল মনে হওয়ার ওপর ভিত্তি করে স্ত্রীকে সন্দেহ করে বসেন! একবার খেয়াল করে দেখুন, আপনার মধ্যেও তেমন কোনো সমস্যা নেই তো? তাই প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি যা ভাবছেন তা সত্যি। তারপরই কেবল সমাধানের কথা ভাবা যাবে। নয়তো সমস্যা বাড়বে শুধু, কমবে না।
নিজের ভুল-ত্রুটি খেয়াল করুন
পরকীয়ার বিষয়টি মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু আপনি তাকে একতরফা দোষ দেওয়ার আগে নিজের দিকটি ভেবে দেখুন। খেয়াল করুন আপনার দিক থেকে কোনো অবহেলা কিংবা উপেক্ষা তাকে ওই পথে নিয়ে গেছে কি না? অনেক সময় দিনের পর দিন স্বামীর কাছ থেকে অবহেলা পেতে থাকলে স্ত্রী ভুলের পথে পা বাড়াতে পারে। তাই শুরু থেকেই তার প্রতি যত্নশীল হোন, তাহলে জীবনে এমন কঠিন দিন দেখতে হবে না।
তার সঙ্গে কথা বলুন
আপনি কী ভাবছেন তা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন। সে কী চাইছে সেটাও জানতে চান। কারণ এমনও হতে পারে যে তার ভুলের পথ খুব বেশি প্রশস্ত হয়নি। হয়তো প্রারাম্ভিক পর্যায়েই রয়েছে। যদি সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে আনা যায়, যদি আপনি সেটাই চান তবে কথা বলুন। আপনি যদি তার সঙ্গে আর এগোতে না চান সেটিও স্পষ্ট জানিয়ে দিন।
চিৎকার নয়
আপনার যতই খারাপ লাগুক, তার সঙ্গে চিৎকার-চেচামেচি করতে যাবেন না। এতে সে নিজের ভুলকে শুদ্ধ প্রমাণের বিভিন্ন সুযোগ পেয়ে যাবে। তাই যতটা সম্ভব তার সঙ্গে স্বাভাবিক স্বরে কথা বলুন। ঠান্ডা মাথায় তাকে বুঝিয়ে বলুন তার অপরাধ কতটা গুরুতর, আপনার জন্য কতটা কষ্টদায়ক।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন
যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে কোন সিদ্ধান্তটি আপনার জন্য সহজ ও সঠিক হবে, তবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। আমরা খালি চোখে যা দেখতে পাই না, বিশেষজ্ঞরা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে তা সহজেই ব্যাখ্যা করতে পারেন। বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের পরামর্শ নিতে পারেন। এতে সমাধান সহজ হবে।