ভ্যালেন্টাইনস উইকের তৃতীয় দিন হলো চকলেট ডে। প্রথমে রোজ ডে তারপর প্রোপোজ ডে আর আজ চকলেট যে। ভালো কাজ শুরু করার আগে একটু মিষ্টিমুখ না করলে কী হয়! চকলেট দিয়ে মিষ্টিমুখ করার গুরুত্ব অনেক এদিন।
জানলে অবাক হবেন, যুগ যুগ ধরে অশেষ প্রেমের চিহ্ন হিসেবে চকলেটের আদান-প্রদান প্রচলিত। চকলেট ডে’তে প্রিয় মানুষটিকে চকলেট দিয়ে মনের কথা না জানালেই নয়।
প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে চকোলেট ভাগ করে নেওয়ার এই রীতি কিন্তু শুরু হয়েছিল অভিনব উপায়ে। অতীতে চকলেট জনপ্রিয় পানীয় হিসেবেই বিখ্যাত ছিল।
জে এস ফ্রাই অ্যান্ড সন্স সংস্থা প্রথম ১৮৪৭ সালে শক্ত চকোলেট তৈরি শুরু করল। এরপর ১৮৪৯ সালে রিচার্ড ক্যাডবেরি শুরু করেন চকলেট তৈরি।
ভিক্টোরিয়ার যুগে চকলেট প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে উপহার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ভালোবাসা জানানোর অন্যতম উপহার ছিল এই মিষ্টি।
ইতিহাস অনুসারে, ১৯ শতকে একটি ব্রিটিশ পরিবার কোকোয়া মাখন ব্যবহারের পদ্ধতি খুঁজছিলেন। তখন রিচার্ড ক্যাডবেরির চকলেটের মাধ্যমেই সবাই শক্ত আকারের চকলেটের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পান।
নিজের তৈরি ছোট্ট সুন্দর বাক্সে চকলেট ভরে বিক্রি শুরু করেন তিনি। সযত্নে তৈরি সে বাক্সে একই সঙ্গে থাকতো ভালোবাসার দূত কিউপিড ও গোলাপ কুঁড়ি। তারপর থেকেই বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে চকলেট বার।
এরপর থেকে প্রেমের উপহার হিসেবেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই বাক্সগুলো। প্রেমের চিঠি জমাতেও বাক্সগুলো ব্যবহার করতেন অনেকেই!
আজও কিন্তু নানা ধরনের প্যাকেট ও বাক্সে বিক্রি হয় বাহারি সব চকলেট। আজ প্রিয়জনকে কিংবা পরিবারের সবাই চকলেট উপহার দিন ও ভালোবাসার বন্ধন অটুট রাখুন।