জীবনসঙ্গী হয়ে গেলে পরস্পরের প্রতি অধিকারও চলে আসে। একজনের টাকায় অন্যজনের অধিকার থাকেই। আপনার পকেট থেকে টাকা হাওয়া করে দেওয়াটাও স্ত্রীর অধিকারের মধ্যেই পড়ে! কিন্তু এমন যদি হয় যে সে কেবল বেহিসেবি খরচ করে যাচ্ছে, তখন সতর্ক হতে হবে। কারণ বেহিসেবি খরচ করতে থাকলে কোনো সংসারেই উন্নতি হয় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার উপায়-
সমস্যা লুকিয়ে রাখবেন না
অনেক পুরুষ থাকেন যারা বিভিন্ন সমস্যার কথা স্ত্রীর কাছে লুকিয়ে রাখেন। এমনকী আর্থিক সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রেও তারা এমনটা করেন। স্ত্রী হয়তো না জেনেই অযথা খরচ করেন। এদিকে তার লাগাম টেনে না ধরলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। তাই সমস্যা থাকলে তা লুকিয়ে রাখবেন না। সে যে ভুল করছে তা তাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে শুধরে যাওয়ার সুযোগ দিন। এতে সেও হিসেব করে চলতে শিখবে।
তাকে বুঝিয়ে বলুন
পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে জানাই স্মার্টনেস। আপনার স্ত্রীকে সব ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার অভ্যাস করতে শেখান। তবে তার সঙ্গে মারমুখী আচরণ করবেন না। খুব সুন্দরভাবে তাকে বুঝিয়ে বলুন। মনে রাখবেন, আপনি যেমন ব্যবহার করবেন, তেমনটাই ফেরত পাবেন। তাই আপনি চিৎকার করলে উল্টো দিক থেকেও চিৎকারই শুরু হবে। ঝগড়া-ঝাটি কখনো শান্তি আনতে পারে না। তাই ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ।
টাকার হিসাব রাখুন
আপনার কষ্টার্জিত সব টাক স্ত্রীকে দিয়ে দেওয়ার মানে হয় না। তার প্রয়োজনের অংশটুকু নিশ্চয়ই দেবেন, তবে বেহিসেবি খরচের জন্য আপনার টাকায় কোনো বরাদ্দ রাখবেন না। কোথায় কত টাকা খরচ হচ্ছে, তার হিসাব রাখুন। প্রয়োজনে লিখে রাখুন, এতে হিসাব রাখা সহজ হবে। তবে এই নিয়ে খিটিমিটি বাঁধাবেন না। তার সঙ্গে ভদ্র আচরণ করুন। আপনার সামর্থ্য কতটুকু তা তাকে স্পষ্ট করে জানান। এতে সেও অবাস্তব খরচের দিকে হাত বাড়াবে না।
তার অধিকারের দিকে খেয়াল রাখুন
জীবনসঙ্গী হিসেবে আপনার টাকায় অধিকার রয়েছে আপনার স্ত্রীরও। তাই তার টুকিটাকি হাত খরচ বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচের দিকে খেয়াল করুন। তার কোনো আবদার থাকলে তা পূরণ করুন যদি আপনার সামর্থ্য থাকে। যদি সামর্থ্য নাও থাকে তবে তাকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলুন। ভবিষ্যতে সামর্থ্য হলে তার আবদার পূরণ করবেন এটিও তাকে জানান।
প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন
অনেকের ভেতরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্ত থাকলে অনেকে অযথা কেনাকাটা করে আনন্দ পান। আপনার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটছে কি না সেদিকে খেয়াল করুন। যদি এমন কিছু হয় তবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এতে তার অযথা টাকা ওড়ানোর স্বভাব নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হতে পারে।