আর মাত্র ৪২ দিন। এর পরই কাতারে সাজবে ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চ- বিশ্বকাপ। যেখানে সবার নজর কাড়তে পারেন 'নতুন' ছয় ফরোয়ার্ড। যাঁরা কিনা এই বিশ্বকাপ দিয়েই ফুটবলের বড় কোনো আঙিনায় পা রাখতে যাচ্ছেন। এই ছয়জন হলেন- ডারউইন নুনেজ, লাওতারো মার্টিনেজ, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, দুসান ভদ্মাহোভিচ, ক্রিস্টোফার এনকুনকু ও জনাথন ডেভিড।
উরুগুয়ের নতুন সারথি নুনেজ। লাতিন ফুটবলের ছন্দের সঙ্গে ইউরোপের গতির মিশেলে তিনি যেন এক কমপ্লিট প্যাকেজ। তারুণ্যের কাঁধে তাই নিশ্চিন্তে ভর করেছে প্রিমিয়ার লিগের ফেভারিট লিভারপুল। নতুন মৌসুমের যাত্রালগ্নেও তাঁর তালে নেচেছে অল রেডসরা। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে আট ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে প্রাপ্তি দুই গোল এক অ্যাসিস্ট। শুধু গোল করেই নন, প্রতিপক্ষ গোলমুখে নুনেজ এক ভয়ের নাম। আর তাঁকে আগলাতে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের কত কী কৌশল। তবুও নুনেজ ছোটেন আপন আলোয়।
অন্যদিকে আর্জেন্টিনার এবারের আক্রমণভাগের আশার নাম লাওতারো মার্টিনেজ। দেশের হয়ে লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপে মার্টিনেজ হবেন নতুন ফরোয়ার্ড। যাঁর কিনা এর আগে বিশ্বমঞ্চে ওঠা হয়নি। ইন্টারের এই ফরোয়ার্ড এরই মধ্যে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে নিজেকে চিনিয়েছেন ভালোভাবে। দেশের জার্সিতেও উজ্জ্বল। মেসির সঙ্গে আকাশি-সাদার আক্রমণভাগের দৃশ্যপট বদলে দিতে পারেন হরহামেশাই। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ৪০ ম্যাচে করেছেন ২১ গোল। ব্রাজিলের আগামীর তারা ভিনিও ছুটছেন আপন আলোয়। গত মৌসুমে রিয়ালকে দু'হাত ভরেই সফলতা এনে দেন। বেনজেমার সঙ্গে তাঁর দারুণ রসায়নে গোল নিয়ে এখন আর চিন্তা করতে হয় না ক্লাবটিকে। এবার কাতারে নেইমারের সঙ্গে জুটি গড়বেন তিনি। সেখানে হলুদ জার্সি গায়ে ঝলক দেখাতে পারেন এই সেনসেশন।
২২ বছর বয়সী ভদ্মাহোভিচকে রাখতে হবে নজরে। সম্প্রতি জুভদের হয়ে চমক দেখানো এই সার্বিয়ান বিশ্বকাপে হতে পারেন দলটির তুরুপের তাস। ব্রাজিলের গ্রুপে পড়া সার্বিয়াকে নিয়েও অন্যদের হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ভদ্মাহোভিচ খেলেছেন ১৬ ম্যাচ। যেখানে গোল আটটি। আর জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর ৩১ ম্যাচে ১৫ গোল করেন তিনি।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের আগামীর তারকা হতে পারেন ক্রিস্টোফার এনকুনকু। কিলিয়ান এমবাপ্পে রাশিয়ার মঞ্চে দেখিয়েছিলেন ঝলক। তাঁর সঙ্গে অভিজ্ঞদের বোঝাপড়াও ছিল চমৎকার। এবার কাতারে ফ্রান্সের জার্সিতে এনকুনকু হতে পারেন দেশটির আরেক চমক। এ ছাড়া কানাডার প্রাণভোমরা এবার ২২ বছরের জনাথন ডেভিড। ছন্দে থাকা এই তরুণের দিকেই হয়তো তাকিয়ে দেশটির ফুটবলপ্রেমীরা। দ্রগবা, ইতো, রোনালদিনহোদের আইডল মানা জনাথনও নিজের প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে মুখিয়ে।