পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে ম্যাচের উত্তেজনাকর মুহূর্তে দারুণ বোলিং করেছেন সিকান্দার রাজা। তার ক্যালকুলেটিভ বোলিংয়ে শেষ বলে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় পায় জিম্বাবুয়ে।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার পার্থে পাকিস্তানকে এক রানে হারায় জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের এই ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক সিকান্দার রাজা। ১৪তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। নিজের পরের ওভারেই আরও একটি উইকেট নেন জিম্বাবুয়ের তারকা অলরাউন্ডার। শেষপর্যন্ত চার ওভারে ২৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন।
সুপার টুয়েলভে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগের রাত থেকেই ভাবতে শুরু করেন সিকান্দার রাজা। তিনি বলেন, রাতে আমি তেমন ঘুমাতে পারিনি। আমার মাথায় এ ম্যাচটি ঘুরছিল। বারবার ভাবছিলাম কিভাবে ব্যাটিং করব। আমি কিছু নোট নিয়েছিলাম। সেগুলো বারবার পড়ছিলাম এবং মাথায় শুধু এগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছিল।
রাজা বলেন, পরদিন আমি ঘুম থেকে ওঠার পর আমার এক বন্ধু মেসেজ দিল- ‘তুমি কি আইসিসির পেজের ভিডিওটি দেখেছ?’ আমি বললাম, না! তখন সে বলল, ‘তাহলে তাড়াতাড়ি দেখ’ সেই ভিডিওটি ছিল রিকি পন্টিংয়ের। তিনি আমাদের দলের ব্যাপারে, বিশেষ করে আমাকে নিয়ে ভালো ভালো কথা বলছিলেন। আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব বলছিল এটি দেখে তাদের চোখে আনন্দের পানি চলে এসেছিল।’
সেই ভিডিও রাজাকে কিভাবে অনুপ্রাণিত করেছে, সেটাও বললেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার। সিকান্দার রাজা বলেন, আমার মধ্যে একধরনের শিহরণ কাজ করছিল। ক্রিকেটের সর্বকালের সেরাদের একজন জিম্বাবুয়ের ব্যাপারে, বিশেষ করে আমার ব্যাপারে এসব বলছিলেন। এমন নয় যে আমার একটি বাড়তি অনুপ্রেরণা দরকার ছিল। তবে সেই ভিডিওটিই ছিল আমার বিশেষ অনুপ্রেরণা। আমি শান্ত থাকতে চেয়েছিলাম। একই সঙ্গে এই ম্যাচের জন্য উত্তেজিত ছিলাম।
পন্টিং রাজাকে নিয়ে বলেছিলেন, তার বয়স ৩৬ বছর। কিন্তু সে খেলে তারুণ্য নিয়ে। তাকে দেখে মনে হয় তার বয়স হয়তো ২৬ বছর। সে পুরো মাঠে দৌড়ায়, নিজের খেলাটা উপভোগ করে এবং দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। এসব খেলোয়াড়েরা বড় উপলক্ষ আর বড় মঞ্চ চায়। আর এটা পেলে সেটাকে বৃথা ফসকে যেতে দেয় না। রাজা এ কাজটা দুর্দান্তভাবে করছে।