টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে আসছে নিউজিল্যান্ড। গ্রুপপর্বে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলে সেমিফাইনালে উন্নীত হয় কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন দলটি।
গত আসরের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে নিউজিল্যান্ড। এবারের আসরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে মিশন শুরু করে কিউইরা।
এরপর বৃষ্টির কারণে আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ ভেসে যায়। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হারায় কিউইরা। চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ রানে হারে কেন উইলিয়ামসনরা। গ্রুপপর্বে নিজেদের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।
অন্যদিকে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত আর দ্বিতীয় ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালে ওঠার পথ কঠিন করে ফেলে। এরপর নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা জয়ে সব শঙ্কা কাটিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। এই ম্যাচের আগে পরিষ্কার করে বলা মুশকিল কারা ফেভারিট।
দলের কম্বিনেশন বিবেচনায় পাকিস্তানের চেয়ে বেশ ব্যালেন্স টিম নিউজিল্যান্ড। তবে অতীত সমীকরণ এবং দুই দলের মুখোমুখি সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় কিউইদের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডের মাঠে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড অতীতে ২৮ ম্যাচে মুখোমুখি হয়। অতীতের সেই সাক্ষাতে ১৭টিতে জয় পায় পাকিস্তান। ১১টিতে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অতীতে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ৬ ম্যাচে মুখোমুখি হয়। অতীতের সেই ছয়বারের সাক্ষাতে চারবার জিতে যায় পাকিস্তান। দুইবার জিতে যায় নিউজিল্যান্ড।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অতীতে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। অতীতের সেই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতে একক আধিপত্য বিস্তার করেই জয় লাভ করে পাকিস্তান।