হারলেই বিদায়, ম্যাচ শুরু আগে ভর করেছিল নানা শঙ্কা। মেসির পেনাল্টি মিসের পর শঙ্কা আরও বাড়ে। বিরতির পর আর্জেন্টিনাকে উদ্ধার করেন দুই তরুণ মিডফিল্ডার—২৩ বছর বয়সী ম্যাকঅ্যালিস্টার ও ২২ বছর বয়সী জুলিয়ান আলভারেজ। তাদের দুজনের গোলে পোল্যান্ডকে ২-০ গেলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই আর্জেন্টিনার একমাত্র মন্ত্র—আক্রমণ, আক্রমণ আর আক্রমণ। ৫ মিনিটের কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ায় কর্নার থেকে হেড প্রতিহত হয় পাল্টা ক্রস থেকে ওটামেন্ডির হেড বাইরে।
১০ মিনিটে শট করেছিলেন মেসি। তবে ডান পায়ের দুর্বল শট বাঁচাতে অসুবিধা হয়নি সেজনিকের। সামান্য আগে আবার বল পেয়েছিলেন মেসি। তার শট প্রতিহত হল সতীর্থের গায়ে লেগেই। তারপর ফের আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন। বাঁচিয়ে দিলেন গোলকিপার।
১৫ মিনিটে ডি মারিয়া মেসিকে পাস দিয়েছিলেন। তিনি দেন ডি পলকে। তার থেকে মোলিনা পাস দেন মেসিকে। তবে আগেই বল আটকে দেন পোল্যান্ডের ডিফেন্ডার। তার পরেই মেসির থেকে বাঁ দিকে পাস পেয়েছিলেন আকুনা। তার উঁচু শট বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
৩২ মিনিটে ডি মারিয়া কর্নার থেকে সোজাসুজি গোলে শট নিয়েছিলেন। বাঁকানো বল গোলেই ঢুকছিল। সেজনিক বাঁচিয়ে দিলেন অল্পের জন্য। না হলে প্রথম গোল পেয়ে যেতো আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৩৮ মিনিট বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে মেসির মুখে হাত চালিয়ে দেন সেজনিক। ভিএরআর-এর সঙ্গে আলোচনা করার পর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। মেসির শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দিলেন পোলিশ গোলকিপার। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে পেনাল্টি বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
এরপর ডি-বক্সে আলভারেজের শট ফিরিয়ে দেওয়ার পর, ফিরিয়ে দেন ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে ডি পলের শটও। একের পর এক আক্রমণ করেও শেষ পর্যন্ত পোলিশ গোলরক্ষকের কাছে হার মেনে প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের।
দ্বিতীয়ার্ধে আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আলবেসিলেস্তদের। ডাউন দ্য লাইন দৌড়েছিলেন মোলিনা। সেখান থেকে তিনি দারুণ এক ক্রস করেন। তার ক্রসে দারুণ এক গোল করেন ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ম্যাকঅ্যালিস্টার।
গোল খেয়ে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা পোল্যান্ডের। এতে আর্জেন্টিনার কাছে খেলাটা অনেক সহজ হয়ে ওঠে। মাঠে অনেক জায়গা পাওয়ায় বেশ কয়েকবার পোলিশ রক্ষণে হানা দেন মেসি।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে ২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার জুলিয়ান আলভারেজ। মাঝমাঠ থেকে এনজ়ো ফের্নান্দেজের পাস পেয়েছিলেন। ডান পায়ে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ালেন তিনি।জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার প্রথম একাদশে নেমেই গোল করলেন ম্যানসিটির এই তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়।
তার কিছুক্ষণ পরে গোল করে ফেলতে পারতেন মেসিও। বাম দিক থেকে সুন্দর পাস পেয়েছিলেন। নিখুঁত জায়গায় বল রেখে অনায়াসে গোল করতে পারতেন তিনি। কিন্তু তার সোজাসুজি শট আটকে দেন গোলকিপার। শেষের দিকে আক্রমণ কিছুটা কমিয়ে দেন মেসিরা। পোল্যান্ডও তেমন কোনও সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি। ২-০ গোলের হার নিয়ে মাাঠ ছাড়তে হয় তাদের।