প্রথমার্ধের শুরুর দিকে দুই গোলে এগিয়ে ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই। পিছিয়ে থাকা লিল দুই গোল শোধ দিয়ে লিডও নিলো। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। একটু পরই পিএসজির ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের শেষ মুহূর্তের গোলে লিগ ওয়ানের রোমাঞ্চকর ম্যাচে পিএসজি ৪-৩ গোলে হারিয়েছে লিলকে। এছাড়া কিলিয়ানে এমবাপ্পে জোড়া গোল করে দলের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন। অন্য গোলটি করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।
পার্ক দ্য প্রিন্সেসে রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ নির্ভর ম্যাচ হয়েছে। পিএসজি দুইবার গোল করে এগিয়ে গেলেও তা ধরে রাখতে পারেনি। ম্যাচ ঘড়ির ১১ মিনিটে পিএসজি প্রথম গোলের দেখা পায়। নেইমারের এসিস্টে এমবাপ্পে বক্সের ভিতরে থেকে ডান পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন।
৬ মিনিট প্যারিসের সেরা দলটি আবারও এগিয়ে যায়। পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনহার পাসে নেইমার ডান পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে লিল ম্যাচে ফেরার সুযোগ খুঁজতে থাকে।
২১ মিনিটে জোনাথন ডেভিডের হেড গোলকিপার দোনারুম্মা ঠেকিয়ে দিয়ে গোল শোধ করতে দেননি। ২৪ মিনিটে লিল ব্যবধান কমায়। আন্দ্রে গোমেজের কর্নারে ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার বাফোডে দিয়াকাতে হেডে জাল কাঁপান। এরপর বিরতির আগে অ্যাঙ্গেল গোমেজ ও জোনাথন ডেভিডের একটি করে প্রচেষ্টা থেকে সমতায় ফিরতে পারেনি দলটি।
অবশেষে লিল সমতায় ফেরে ৫৬ মিনিটে। মার্কো ভেরাত্তি ফাউল করলে রেফারি স্পট কিকের নির্দেশ দেন। তা থেকে জোনাথন ডেভিড ডান পায়ের শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। স্বস্তি আসে লিল শিবিরে।
লিল এবার লিড নেয়। ৬৯ মিনিটে জোনাথন বাম্বা ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকোনি শটে বল জালে জড়ান। শেষ দিকে ম্যাচ আরও জমে ওঠে। গোল হয়েছে আরও দুটি। এবার পিএসজি চালকের আসনে।
৮৭ মিনিটে হুয়ান বেরনাতের দারুণ পাসে বক্সের ভেতরে এমবাপ্পে বুটের ডগা দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে দলকে সমতায় ফেরান। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে লিওনেল মেসির বা পায়ের ফ্রি-কিক থেকে পিএসজি জয় নিশ্চিত করে। মেসির ফ্রি-কিক পোস্টের ভেতরে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। গোলকিপার বলের লাইনে ঝাঁপালেও নাগাল পাননি।
পিএসজি ২৪ ম্যাচে ১৮ জয়,৩ ড্র ও ৩ হারে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে। সমান ম্যাচে লিল ১২ জয়, ৫ ড্র ও ৭ হারে আগের ৪১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানেই অবস্থান করছে।