এক বছর, দুই বছর বা এক হাজার বছর নয়, প্রায় ৫০ হাজার বছর পর পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে সি/২০২২ ই৩ (জেটটিএফ) নামের একটি ধূমকেতু। ভালো খবর হলো এ ধূমকেতুটি খালি চোখেই দেখা যাবে।
ধূমকেতুটি ১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছ দিয়ে যাবে। ভালো মানের দূরবীন ছাড়াও খালি চোখে এটি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন পৃথিবীর মানুষ। তবে চাঁদ এবং শহরের লাইটের আলোর উজ্জ্বলতা যদি বেশি হয় তাহলে খালি চোখে ধূমকেতুটির দেখা নাও মিলতে পারে।
পূর্ণিমার কারণে খালি চোখে দেখা না গেলেও, জানুয়ারির ২১-২২ তারিখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য এটি পর্যবেক্ষণের ভালো একটি সুযোগ থাকবে বলে বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন প্যারিসের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার।
গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সংস্থা জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি প্রথমবার ধূমকেতুটি বৃহস্পতি গ্রহের পাশ দিয়ে যেতে দেখে। ২০২২ সালে প্রথমবার দেখা মেলায় এটির নামকরণ করা হয় সি/২০২২ ই৩ (জেটটিএফ)।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার জানিয়েছেন, ধূমকেতুটি ময়লা, এমিট এবং সবুজ রঙের আভা দিয়ে তৈরি।
২০২০ সালে সর্বশেষবার খালি চোখে কোনো ধূমকেতুর দেখা মেলে পৃথিবীতে। ওই ধূমকেতুটির নাম ছিল নিউওয়াইজ। এখন নতুন যেটির দেখা মিলবে সেটি নিউওয়াইজের তুলনায় ছোটো।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার জানিয়েছেন, সি/২০২২ ই৩ (জেটটিএফ) ধূমকেতুটি নিউওয়াইজের চেয়ে পৃথিবীর আরও কাছ দিয়ে যাবে। ফলে এটি আকার নিয়ে খুব বেশি সমস্যা হবে না। তিনি আরও জানিয়েছেন, পৃথিবীর কাছ দিয়ে যেহেতু যাবে তাই এটির উজ্জ্বলতা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে এ ধূমকেতুটি এসেছে অর্ট মেঘ থেকে। এটি সৌর জগতের রহস্যময় বরফীয় বস্তুর কাছে অবস্থিত।
সর্বশেষবার ধূমকেতুটি যখন পৃথিবীর কাছে এসেছিল তখন পৃথিবী ছিল পুরাতন প্রস্তুরযুগে। ওই সময় পৃথিবীতে ছিল প্রাক্সানবের (আদি মানব) বিচরণ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার আরও জানিয়েছেন, এবার পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার পর হয়ত এ ধূমকেতুটি সৌর জগত থেকে হারিয়ে যাবে।
সূত্র: আল জাজিরা